এমপি গোলাপের বিরুদ্ধে দুদকে ব্যারিস্টার সুমনের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৩৪ পিএম, ২৬ জানুয়ারি ২০২৩
দুদকে অভিযোগ দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন

মাদারীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপের বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে অবৈধ সম্পদ গড়ার অভিযোগ এনে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন দুদকে এ চিঠি দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দুদকে অভিযোগ সম্বলিত চিঠি জমা দেন ব্যারিস্টার সুমন।

আরও পড়ুন: সোবহান মিয়া দুর্নীতি করলে ব্যবস্থা নেবে দুদক, ইসির কিছু করার নেই

এ সময় তিনি বলেন, মাদারীপুরের সংসদ সদস্য আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপের বিষয়ে আমি একটা ভিডিও করেছি। অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট (ওসিসিআরপি) বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাংবাদিকদের একটি প্ল্যাটফর্ম। এক প্রতিবেদনে ওসিসিআরপি তার বিষয়ে তথ্য দিয়েছে। এখন আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপ ২০১৪-১৫ সালে যখন এমপি ছিলেন তখন কী পরিমাণ দেশ সেবা করেছেন যে, সেবা করতে করতে নিউইয়র্কে ৯টা প্রপার্টিজ করেছেন। যেগুলো তার নিজের নামে আছে এবং এখন পর্যন্ত তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেননি।

ব্যারিস্টার সুমন বলেন, আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপের যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক, অন্য কোনো দেশে একাধিক বাড়ি কেনার তথ্য ২০১৮ সালের নির্বাচনী হলফনামায় গোপন করেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে দেশে-বিদেশে বিপুল অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। এ বিষয় নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট বলেছে, বিষয়টি দুদক দেখবে।

আরও পড়ুন: বিধি ভেঙে ভোট চাচ্ছেন এমপি গোলাপ

তিনি আরও বলেন, এতদিন অপেক্ষায় ছিলাম দুদক এরকম একটি ক্রিস্টাল ক্লিয়ার বিষয়ে কোনো সরাসরি সুয়োমোটো গ্রহণ করে কি না। যেহেতু এখন পর্যন্ত দুদক গ্রহণ করেনি, তাই আমি নিজে আজ দুদক বরাবর অভিযোগ করে গেলাম (এটা আইনে আছে, যেকোনো ব্যক্তি দুদকে অভিযোগ করতে পারবেন)। দুদক যদি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয় বা না নেয়, তবে আমি পরবর্তী ব্যবস্থা নেবো।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, উনি (ব্যারিস্টার সুমন) আমার হাতে অভিযোগ দেননি তো, আমি জানি না। অভিযোগ তো যে কেউ দিতে পারে। অভিযোগ আসার পরে যাচাই বাছাই কমিটি যাচাই করে দেখবে তা দুদকের তফসিলভুক্ত কি না। যদি পড়ে (তফসিলভুক্ত হয়) তাহলে সব তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে কমিশন বরাবর উপস্থাপন করা হবে। প্রাপ্ত বিধিবিধান পর্যালোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এসএম/কেএসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।