‘ঢাকায় ভর্তি হওয়ায় ভালো করার একটি বাড়তি চাপ ছিল’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:৪৪ পিএম, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

নাটোর সদরের একটি স্কুল থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি পাস করেন সিফাত বিনতে মিজান। ভালো একটি কলেজে পড়ার ইচ্ছা জাগে তার। সিফাতের কয়েকজন সহপাঠী রাজশাহীর বিভিন্ন কলেজে ভর্তি হন। কিন্তু সিফাত ভর্তির জন্য আবেদন করেন রাজধানীর ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজে। সুযোগও পান তিনি। পরে সিফাতের পুরো পরিবারকে ঢাকায় চলে আসতে হয়। পড়ালেখার জন্য ঢাকায় চলে আসায় ভালো ফলাফল করার একটি বাড়তি চাপ ছিল। এবার এইচএসসি পরীক্ষায় সিফাত জিপিএ-৫ পেয়েছেন। ফল পেয়ে উচ্ছ্বসিত সিফাত বলেন, আজকে আমি অনেক খুশি, আর কোনো চাপ নেই।

বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) এইচএসসি পরীক্ষা ফল পাওয়ার পর রাজধানীর ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজে নিজের সম্পর্কে জাগো নিউজকে এসব তথ্য জানান সিফাত।

তিনি বলেন, আমি নাটোর জেলা সদরের একটি স্কুল থেকে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পাই। এরপর ইচ্ছে জাগে ভালো একটি কলেজে পড়বো। ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভর্তির সুযোগ পেলাম। শুরুর পথটা খুব সহজ ছিল না। তবে শুকরিয়া যে ভালোভাবে শেষ করেছি।

আরও পড়ুন: এইচএসসিতে পাসের হার ৮৫.৯৫ শতাংশ

তিনি বলেন, ভর্তি হওয়ার আগেও ঢাকায় আসা-যাওয়া ছিল। কিন্তু ভর্তি হওয়ার পর একেবারে পরিবারসহ আসতে হয়েছে ঢাকায়। এতে একটু চাপ ছিল। কারণ পরিবারের প্রত্যাশা একটু বেশি ছিল যে বাড়ি থেকে ঢাকায় গেছে পড়ালেখার জন্য। বাড়ির বড় মেয়ে, আমি আমার দিক থেকে অনেক চেষ্টা করেছি। এখন জিপিএ-৫ পেয়েছি তাতে খুবই খুশি।

আরও পড়ুন: ‘পাসের হারে মেয়েরা এগিয়ে, ছেলেদের আরও মনোযোগী হতে হবে’

নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার বিষয়ে সিফাত বলেন, ভালো রেজাল্ট করেছি। এখন স্বপ্ন হলো একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হওয়া। প্রস্তুতি নিচ্ছি। এখন দেখা যাক কী হয়।

মেয়ের ভালো রেজাল্ট পেয়ে খুশি সিফাতের মা নাজনীন রহমান। তিনি বলেন, মেয়ে ভিকারুন নিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়ায় নাটোর থেকে ঢাকায় চলে আসি আমরা। একটা বাড়তি চাপ ছিল মেয়ে কেমন ফলাফল করে। জিপিএ-৫ পাওয়ায় আমরা খুশি।

আরএসএম/আরএডি/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।