তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণির নিয়োগ: ৩১ মে’র মধ্যে প্রতিবেদন দেবে কমিটি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৩৮ এএম, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

সরকারি চাকরিতে ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডে (আগের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী) নতুন কোন কর্তৃপক্ষ ও পদ্ধতিতে নিয়োগ দেওয়া হবে— এ বিষয়ে সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) দেওয়া প্রস্তাব যাচাই করে কমিটিকে আগামী ৩১ মে’র মধ্যে সুপারিশ সম্বলিত প্রতিবেদন দিতে হবে।

সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রতিবেদন দাখিলের সময় বেঁধে দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

এর আগে ২০২০ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবকে আহ্বায়ক করে আট সদস্যের যাচাই কমিটি গঠন করেছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। কমিটিকে তিন মাসের মধ্যে সরকারের কাছে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছিল। পরে প্রতিবেদন দাখিলের সময় ২০২০ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন- মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, অর্থ বিভাগ, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিভাগ, সরকারি কর্মকমিশন সচিবালয়ের যুগ্মসচিব পর্যায়ের একজন করে কর্মকর্তা এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা) ও যুগ্মসচিব (বিধি-১)। জনপ্রশাসনের উপসচিবকে (বিধি-১) সদস্য সচিব করা হয়।

প্রশাসনে প্রায় সবসময়ই আড়াই থেকে তিন লাখের মতো তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর পদ খালি থাকে। মন্ত্রণালয় ও সংস্থাগুলো এ পদে কর্মী নিয়োগ দেয়। এসব পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে পছন্দের লোক নিয়োগ, অর্থের বিনিময়ে নিয়োগসহ প্রায়ই নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এ প্রেক্ষাপটে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর পদ দ্রুত ও স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগের জন্য একটি কমিশন গঠনের বিষয়টি সামনে আসে। কিংবা প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির মতো তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের নিয়োগ পিএসসির মাধ্যমে দেওয়ার বিষয়টি আলোচনায় আসে।

তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির নিয়োগের ক্ষেত্রে একটি পদ্ধতি নির্ধারণে পিএসসিকে প্রস্তাব দিতে বলা হয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সেই প্রস্তাব জমা দেয় পিএসসি।

পর্যালোচনা কমিটির কার্যপরিধির মধ্যে বলা হয়, বেতন গ্রেড ১৩ থেকে ২০তম পর্যন্ত পদে সরকারি কর্মচারী নিয়োগের কর্তৃপক্ষ ও পদ্ধতি নির্ধারণ করা। বেষ্টনি (আমব্রেলা) নিয়োগবিধি প্রণয়নের আইনগত ও প্রয়োগিক বিষয়গুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা। বছরভিত্তিতে একটি সমন্বিত পরীক্ষা নিয়ে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগের লক্ষ্যে পদভিত্তিক একটি পুল গঠনের বিষয়টির প্রায়োগিক সম্ভাব্যতা যাচাই-বাছাইয়ের দায়িত্বও কমিটিতে দেওয়া হয়।

বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের অফিসের ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারী নিয়োগ কার্যক্রম কমিশনের আওতাভুক্ত করা হলে কোনো সমস্যার সৃষ্টি হবে কি না- তা সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্যও বলা হয়েছে কমিটিকে।

আরএমএম/এমএএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।