ঠাকুরগাঁওয়ে বোরো আবাদে ব্যস্ত চাষিরা
ঠাকুরগাঁওয়ের মাঠে মাঠে এখন বোরো চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাঠে চলছে জমি পরিচর্যার কাজ। তবে চাষিদের অভিযোগ সময় মতো ধানের ন্যায্য মূল্য না পেলে লোকসানের মুখে পড়তে হবে।
কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে ৫৯ হাজার ৯৭৮ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর এ পর্যন্ত অর্জিত হয়েছে ৩৬ হাজার ৫০০ হেক্টর জমির আবাদ। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের আশাবাদ কৃষি বিভাগের।
এদিকে গেল বছরে আমন ধান বিক্রি করতে হয়েছে ৪শ থেকে ৫শ টাকা দরে। আর চলতি মৌসুমে বোরো ধান ৪শ থেকে ৫শ টাকা দরে বিক্রি হবে কিনা এ নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন কৃষক। তবে বোরো ধান উৎপাদনের পর পরই যদি সরকার সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু করেন তাহলে কৃষক লাভবান হবে বলে মনে করছেন কৃষি সংশ্লিষ্টরা।
সদর উপজেলার খোঁচাবাড়ি ও ফাড়াবাড়ি গ্রামের কৃষক সমসের আলী, রহিম, পরেশ ও রফিকুল জানান, এক বিঘা জমিতে বোরো আবাদে ১৭ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ হয়। আর ধান পাওয়া যায় ৩০ থেকে ৩৫ মণ। তবে কাটা মাড়াইয়ের পর বাজারে ধান বিক্রি করতে হয় মণ প্রতি ৪শ থেকে ৫শ টাকা দরে। এ তুলনায় কৃষকের তেমন একটা লাভ হয় না। 
কৃষকরা আরো অভিযোগ করে বলেন, ধান চাষ করে আমরা যতটা লাভ করতে পারি না তার চেয়ে বেশি লাভবান হচ্ছে মিলাররা। কারণ সিন্ডিকেট করে জেলার প্রতিটি বাজার নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ধান কেনাবেচার কারণে কৃষকরা ধানের দাম পাচ্ছে না। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় কৃষক।
এ বিষয়ে জেলা চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হোসেন রাজু জানান, কৃষকরা যে অভিযোগ করেছেন তা ভিক্তিহীন। আমরা বাজার দরেই উৎপাদিত পণ্য ক্রয় করি। তবে সময় মতো সরকার সরাসরি কৃষকের কাছে ধান ক্রয় করলে কৃষক লাভবান হবেন বলে মনে করেন তিনি।
জেলার কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক আরশেদ আলী জানান, আমরা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষককে সব সময় পরামর্শ দিয়ে আসছি। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে। আর কৃষকের উৎপাদিত ধান যদি কৃষক নিজেই কিছু দিনের জন্য মজুত রাখতে পারে তাহলে কৃষক কোনভাবেই লোকসানের মুখে পড়বেন না।
রবিউল এহসান রিপন/এসএস/এমএস