নরসিংদীতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
নরসিংদীর ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক থেকে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় সরকারি নির্দেশনা অমান্য করায় বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীকে অর্থদণ্ড দেয়া হয়।
সোমবার দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বির আহাম্মেদের নেতৃত্বে এসব উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, গত কয়েক বছর যাবৎ নরসিংদীর ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দুই পাশে নামে বেনামে প্রায় শতাধিক অবৈধ স্থাপনা গড়ে ওঠে। স্থাপনাগুলো সড়কের পাশে হওয়ায় হরহামেশাই নানা দুর্ঘটনা ঘটে আসছে। একই সঙ্গে দখল হয়ে যাচ্ছে সরকারি সম্পত্তি। অন্যদিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ৪ লেন উন্নিত করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। সেক্ষেত্রে এসব অবৈধ স্থাপনা উন্নয়ন কাজের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে। তাই মাসিক আইনশৃংখলা মিটিং এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জোর দাবি উঠে আসে।
এরই ধারাবাহিকতায় জেলা প্রশাসনের নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বির আহাম্মেদ বলেন, সড়ক ও জনপদ বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলো বেহাত হয়ে যাচ্ছে। একাধিকবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে নোটিশ দেয়া হয়েছে। মাইকিং করা হয়েছে। কিন্তু তারা কর্ণপাত করেননি। জেলা শহরের যানযট নিরসনসহ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সম্পত্তি রক্ষায় এ অবৈধ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মোতাকাব্বির আহাম্মেদের নেতৃতে উচ্ছেদ অভিযানে অংশ নেন সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রোকৌশলী মো. শাহরিয়ার আলম, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মঞ্জুর মোর্শেদ সহ জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রসাশনের সদস্যবৃন্দ।
এদিকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালানয় তৃণমূলের লোকজন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি করেছেন যাত্রাশিল্পীর।
নরসিংদী জেলা সনেট যাত্রাশিল্পী বহুমুখি সমবায় সমিতি লি. এর সভাপতি টি এইচ আজাদ কালাম বলেন, জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী ও স্থানীয় মেয়রের অনুমতি নিয়েই জেলা পরিষদের জায়গায় ওয়ার্ড আ.লীগের কার্যালয় ও যাত্রাশিল্পীদের ঘর ওঠানো হয়েছিল। জেলা প্রশাসনের অাচমকা অভিযানে যাত্রাশিল্পীরা পথে নেমে এসেছে।
সঞ্জিত সাহা/এফএ/এবিএস