বিজিবি মহাপরিচালক

দেশকে এগিয়ে নিতে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:০৭ পিএম, ১৭ মার্চ ২০২৩
বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান/ ছবি- জাগো নিউজ

দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে বিজিবির সব সদস্যকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সততা ও কর্তব্যনিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান।

তিনি বলেন, ব্যক্তি স্বার্থকে ঊর্ধ্বে রেখে সামগ্রিকভাবে দেশের উন্নতির জন্য, দেশের মানুষের কল্যাণে এবং বিজিবির সমৃদ্ধি ও সুনাম বাড়াতে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।

শুক্রবার (১৭ মার্চ) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস- ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এই আহ্বান জানান।

বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট দেশ হিসেবে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিজিবির সব সদস্যকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সততা ও কর্তব্যনিষ্ঠার সঙ্গে অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে হবে।

তিনি বলেন, জাতির পিতা ১৯৭৪ সালে পিলখানায় তৎকালীন বিডিআরের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে ঐতিহ্যবাহী এই বাহিনীর করণীয় ও দায়িত্ব সম্পর্কে সুচিন্তিত নির্দেশনা দিয়েছিলেন। সেটি হৃদয়ে ধারণ করে বিজিবির ওপর অর্পিত পবিত্র দায়িত্ব পালন করতে হবে। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক সীমানা রক্ষা করা, চোরাচালান বন্ধ, মাদক পাচার রোধসহ অন্য সব দায়িত্ব দক্ষতা, সততা, ন্যায়-নীতি ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করতে হবে।

মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান বলেন, আজ বাঙালি জাতির জন্য একটা বিশেষ দিন। ১৯২০ সালের এই দিনে জাতির পিতার জন্ম না হলে হয়তো এখনও আমরা পশ্চিম পাকিস্তানের সেই পরাধীনতার শেকলে বন্দি থেকে যেতাম।

তিনি বলেন, সকালে সূর্য উঠলে যেমন আমরা দেখতে পাই দিনটা কেমন যাবে, ঠিক তেমনি কোনো মহামানবের আগমন উপলক্ষেও অনেক ধরনের পূর্বাভাস পাওয়া যায়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তেমনি একজন মহাপুরুষ। বঙ্গবন্ধুর জীবন ইতিহাস পর্যালোচনা করলে ছোটবেলা থেকেই তার মধ্যে মানুষের প্রতি সহমর্মিতা, সহানুভূতি ও মহানুভবতা এবং নেতৃত্বের গুণাবলীর পরিচয় পাওয়া যায়।

এদিকে, দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকালে পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরসহ সারাদেশে বিজিবির অন্য সব ইউনিটে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এছাড়াও বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ, ১৯৭৪ সালের ৫ ডিসেম্বর তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) ৩য় ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজে বঙ্গবন্ধুর প্রদত্ত ভাষণ ও ‘অসমাপ্ত মহাকাব্য’ শীর্ষক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর বিশেষ আলোচনা করা হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ ৭৫ এর ১৫ আগস্ট শাহাদতবরণকারী তার পরিবারের সব সদস্য, মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সব বীর শহীদ এবং বিজিবির দুইজন বীরশ্রেষ্ঠসহ আত্মোৎসর্গকারী ৮১৭ জন বীর শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়।

এছাড়াও বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে পিলখানায় বিজিবির সদর দপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহে সীমিত আকারে আলোকসজ্জা এবং সারাদেশে বিজিবির সব রিজিয়ন, প্রতিষ্ঠান, সেক্টর ও ইউনিটে ব্যানার, ফেস্টুন এবং পতাকা দ্বারা সজ্জিত করা হয়। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে রাতে পিলখানাসহ সারাদেশে বিজিবির সব ইউনিটে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।

আরএসএম/কেএসআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।