অনিয়মে বেতন কমলো সাবেক এসিল্যান্ড রাকিবুজ্জামানের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:২৬ পিএম, ১৯ মার্চ ২০২৩

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় অনিয়মের জন্য মো. রাকিবুজ্জামানের বেতন কমানো হয়েছে।

তাকে এ শাস্তি দিয়ে গত ১৬ মার্চ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। রাকিবুজ্জামান এখন ঠাকুরগাঁও পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে রয়েছেন।

এসিল্যান্ড থাকার সময় যমুনেশ্বরী নদীর বালু উত্তোলনে একজনের কাছ থেকে অবৈধ সুবিধা নেওয়ায় তিনি দুই বছরের জন্য বেতন গ্রেডের নিম্নতম ধাপে অবনমিতকরণের শাস্তি পেয়েছেন।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় যমুনেশ্বরী নদীর খননকৃত পুঞ্জিভূত ৩২ ও ৩৪ নম্বর লটের বালু উত্তোলনের বিষয়ে মো. জিয়াউর রহমান জিয়ার কাছ থেকে রাকিবুজ্জামানের অবৈধ সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। যার অডিও রেকর্ড ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সরবরাহ করা হয়। কিশোরগঞ্জ উপজেলা নদ-নদী, খাল-বিল ও সরকারি জলাশয় খননকৃত বালি ও মাটি নিলাম সংক্রান্ত কমিটির সদস্য হিসেবে জিয়াউর রহমানের কাছ থেকে অবৈধ সুবিধা গ্রহণের বিষয়টি তদন্তে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী অসদাচরণ ও দুর্নীতিপরায়ণতার অভিযোগে বিভাগীয় মামলা দায়ের করে কৈফিয়ত তলব করা হয়।

পরে এই কর্মকর্তার ব্যক্তিগত শুনানি নিয়ে অভিযোগটি বিস্তারিত তদন্তের জন্য তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। তদন্তে অসদাচরণ ও দুর্নীতিপরায়ণতার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করে কেন চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে না বা গুরুদণ্ড দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে দ্বিতীয় কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। দ্বিতীয় নোটিশের জবাবে রাকিবুজ্জামান তদন্ত প্রতিবেদনকে পক্ষপাতদুষ্ট হিসেবে অভিহিত করে অভিযোগ অস্বীকার করেন।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, অভিযোগনামা, অভিযোগ বিবরণী, ব্যক্তিগত শুনানিতে দেওয়া উভয় পক্ষের বক্তব্য, তদন্ত প্রতিবেদন, দ্বিতীয় কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব এবং নথির অন্যান্য কাগজপত্র ও প্রমাণক পর্যালোচনায় রাকিবুজ্জামানের অসদাচরণ ও দুর্নীতিপরায়ণতার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।

এই কর্মকর্তার অপেক্ষাকৃত কম বয়স ও অভিজ্ঞতা বিবেচনায় আগামী দুই বছরের জন্য বেতন গ্রেডের নিম্নতম ধাপে অবনমিতকরণ অর্থাৎ নবম গ্রেডের নূন্যতম স্কেল ২২ হাজার টাকা মূল বেতনে অবনমিতকরণের লঘুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দণ্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তিনি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বর্তমান বেতন ধাপে বেতন পাবেন। তবে বকেয়া কোনো আর্থিক সুবিধা পাবেন না বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।

আরএমএম/এমএইচআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।