ক্রিকেটে বাংলাদেশের ৮ নক্ষত্র
ক্রিকেটের অভিজাত আঙ্গিনায় প্রবেশের পর তিক্ত সব অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়েই যেতে হয়েছে বাংলাদেশকে। একসময় বাংলাদেশের টেস্ট স্ট্যাটাস কেড়ে নেয়ার শত শত প্রস্তাব বাতাসে উড়েছে। সেই সময় আজ ইতিহাস হয়ে গেছে। বাংলাদেশ ক্রিকেটের এই উত্থানের পিছনে অনেক নাম রয়েছে। এর মধ্যে আট জনকে বেছে নেওয়া সহজ নয়। ২০০০ সালে আইসিসির সম্পূর্ণ স্বীকৃতি পাওয়ার আগে থেকেই লড়াই শুরু। তার পর দেশের ক্রিকেটকে অনেকেই নিয়ে গিয়েছেন বিশ্ব ক্রিকেটের মঞ্চে। কখনও এসেছে সাফল্য, কখনও ব্যর্থতাও হানা দিয়ে গিয়েছে দেশের ক্রিকেটে। সেখান থেকেই দেখে বেছে নেওয়া দেশের ক্রিকেট ইতিহাসে যে আট জনের নাম উজ্বল অক্ষরে লেখা থাকবে।
অলোক কাপালি
বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম হ্যাটট্রিক করা বোলার। আউট করেছিলেন পাকিস্তানের সাব্বির আহমেদ, দানিশ কানেরিয়া ও উমর গুলকে।
মেহরাব হোসেন- যার ব্যাট থেকে এসেছিল বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট রান (২০০০) এবং প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরিটিও তার (১৯৯৯)।
হাবিবুর বাশার
তিনি একমাত্র ব্যাটসম্যান যার টেস্ট ব্যাটিং গড় ৩০ শতাংশের বেশি। এতদিন তিনি ছিলেন দেশের সফলতম অধিনায়ক। ২০০৫ এ তার অধিনায়কত্বে প্রথম টেস্ট ম্যাচ জয়, প্রথম টেস্ট সিরিজ জয় ও প্রথম ওয়ানডে সিরিজ জয় এসেছিল বাংলাদেশের।
শাহরিয়র নাফিস- এক মৌসুমে প্রথম কোনো ব্যাটসম্যান যিনি ১০০০ রান করেছিলেন তার ক্যারিয়ারে। যেখানে ছিল তিনটি সেঞ্চুরি।
সেটা ২০০৬।
মাশরাফি মর্তুজা
২০০৬ সালেই একদিনের ম্যাচে ৪৯টি উইকেট নিয়ে দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।
আর এখন সফলতম অধিনায়ক তিনি।
সাকিব আল হাসান
বিশ্বের সেরা অল রাউন্ডারদের মধ্যে তিনি একজন। তিনিই প্রথম বাংলাদেশের প্লেয়ার যিনি আইসিসি অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ে তিন ফরমেটেই র্যাঙ্কিংয়ে দীর্ঘদিন শীর্ষে ছিলেন।
মুস্তাফিজুর রহমান
তার বল বিশ্বের তাবড় তাবড় ব্যাটসম্যানদের কাছে হয়ে উঠেছিল ত্রাস। টি-টোয়েন্ট দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু। প্রথম ম্যাচে ৫ উইকেট নিয়ে ইতিহাসে ঢুকে পরা মুস্তাফিজুর ২০১৫তেই তিন ম্যাচের সিরিজে ১৩ উইকেট নিয়ে বিশ্বরেকর্ড করে ফেলেছিলেন।
এনামুল হক জুনিয়র- সেরা বোলিং অ্যাভারেজ। এক ইনিংসে ৯৫ রান দিয়ে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। ২০০৫ এর জানুয়ারির কথা। এক ম্যাচে সেরা বোলিং। ২০০ রান দিয়ে ১২ উইকেট।
এমআর/আরআইপি