ঢাকা-কাশিমপুরসহ পাঁচ কারাগারের জন্য কেনা হচ্ছে ১৩০ মোবাইল জ্যামার

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৫৬ পিএম, ১২ এপ্রিল ২০২৩

ঢাকা ও কাশিমপুর কারাগারসহ পাঁচটি কারাগারের জন্য ১৩০টি কম্প্রিহেনসিভ মোবাইল ফোন জ্যামার কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীন কারা অধিদপ্তর এ কম্প্রিহেনসিভ মোবাইল ফোন জ্যামার। এ বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

বুধবার (১২ এপ্রিল) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান সাংবাদিকদের বলেন, সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীন কারা অধিদপ্তর কর্তৃক ৫টি কারাগারের জন্য ১৩০টি মোবাইলফোন জ্যামার সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

কারাগারগুলোর মধ্যে রয়েছে-ঢাকা, কাশিমপুর-২, কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি এবং নারায়ণগঞ্জ।

সাঈদ মাহবুব খান জানান, অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ১ লাখ ১০ হাজার ইভিএম এর মাদার বোর্ড, সিপিইউ, স্ক্রিন, ফিঙ্গার প্রিন্ট রিডার, কার্ড রিডার, প্রিন্টার, ই-লিঙ্ক প্যানেল, ইন-বিল্ট স্পিকার ইত্যাদি যন্ত্রাংশ ক্রয় ও রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত ভৌত সেবা বাংলাদেশ মেশিন টুলস্ ফ্যাক্টরি লিমিটেড থেকে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ক্রয়ের আর একটা প্রস্তাব আনা হয়। তবে সংশ্লিষ্টরা প্রস্তাবটি ফিরিয়ে নিয়েছেন।

অতিরিক্ত সচিব জানান, আজ অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির নবম এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ১৪তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য ২টি এবং ক্রয়-কমিটির অনুমোদনের জন্য ১৬টি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে।

ক্রয় এর প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে বিদ্যুৎ বিভাগের ৪টি, কৃষি মন্ত্রণালয়ের ৩টি, শিল্প মন্ত্রণালয়ের ৩টি, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ২টি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ২টি, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ১টি এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ১টি প্রস্তাবনা ছিল।

এমএএস/এমআইএইচএস/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।