দুস্থ মানুষের দ্বারে সেহরি-ইফতার পৌঁছে দিচ্ছেন তারা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৫৫ পিএম, ১৮ এপ্রিল ২০২৩

রমজান মাসজুড়ে রাজধানীর টিএসসি, কমলাপুর, হাইকোর্ট, মগবাজার, ধানমন্ডি এলাকায় ভিক্ষুক, রিকশাচালক, শ্রমিক, ছিন্নমূল পথশিশুদের হাতে ইফতার ও সেহরি তুলে দেওয়া হচ্ছে। এ কর্মসূচিতে স্বেচ্ছাসেবকের কাজ করছেন কয়েকজন যুবক।

সোমবার (১৭ এপ্রিল) বৈশাখের হাঁসফাঁস গরমে খোলা আকাশের নিচে ঘুমাচ্ছেন ৬৫ বছরের বৃদ্ধা সালেহা বেগম। দিনের বেলায় ভিক্ষে করে কাটে সময়, রাতে ঘুমান ফুটপাতে। রমজান মাসে কখনো খেয়ে আবার কখনো না খেয়েই রাখেন রোজা। আজ তার সেহরির জন্য কিছুই নেই। সালেহা বেগমের দুশ্চিন্তা দূর করলেন দুই যুবক। তার হাতে তুলে দিলেন হাতে খাবার আর পানি।

টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের সামনে ঘুমাচ্ছেন পানি বিক্রেতা আবুল মিয়া। তার হাতেও পৌঁছে গেছে সেহরি ও ইফতারি। তিনি বলেন, দিনের বেলা পানি বেইচ্যা চলি, রাতে ফুটপাতেই ঘুমাই, সেহরিতে কেউ না কেউ খাবার দেয় তহন ওইডা খাইয়া রোজা থাহি।

রিকশাচালক ওয়ারেছ আলী বলেন, জিনিসপত্রের ম্যালা দাম, দোকানে খাওনের বিল বাড়ছে। রোজার দিনে যারা গরিব মাইনষ্যের জন্য খাওন দিতাছে আল্লাহ তাগো বালা করুক। এইডা তো সওয়াবের কাম।

দুস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে সেহরি বিতরণ করে খুশি স্বেচ্ছাসেবক জাফরুল ইসলাম নাহিদ।

তিনি বলেন, প্রতিদিন ১৫০ জনের সেহেরি ও ১০০ জনের ইফতার আয়োজন করে থাকি। রাস্তার পাশে থাকা গরিব দুঃখী মানুষকে খাবার দিতে পেরে মনে শান্তি পাই, এ কাজ করতে ভালোই লাগে।

কর্মসূচির পৃষ্ঠপোষক ভিনাইল গ্রুপের সিইও ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক উপ-কমিটির সাবেক সদস্য আবেদ মনসুর বলেন, দুস্থ ও অসহায় মানুষদের দুঃখ কষ্ট সমাজের বিত্তবানদের উপলব্ধি করা উচিত। অন্তত এ রমজানে যাতে রাস্তায় থাকা মানুষগুলো ভালো খাবার খেয়ে রোজা রাখতে পারে। সেজন্যই আমার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টায় মাসে জুড়ে সেহরি ও ইফতার বিতরণ করেছি। অসহায় দুঃখী মানুষকে সাহায্য করার মাঝেই তো কল্যাণ নিহিত হয়।

আইএইচআর/জেএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।