শাবি ছাত্রলীগের দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন পালনকে কেন্দ্র করে শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় দুই পক্ষ একে অপরকে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া দেয়। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ক্যাম্পসের ফুর্ড কোর্ট চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূূত্রে জানা যায়, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে শাখা ছাত্রলীগ কেককাটা ও র্যালির আয়োজন করে। কেককাটার সময় ছাত্রলীগ সভাপতি সঞ্জীবন চক্রবর্তী পার্থ ও সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলামের সবুজের সমর্থক মোশাররফ হোসেন রাজু (কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড পলিমার সায়েন্স, ২০১১ ব্যাচ) সহ-সভাপতি আবু সাঈদ আকন্দ ও সাধারণ সম্পাদক ইমরান খানের সমর্থক মুহিবুল ইসলাম মিসবাহকে (সমাজবিজ্ঞান, ২০০৮ ব্যাচ) ধাক্কা দেয়।
এ নিয়ে দুইজনের মধ্যে কথাকাটির একপর্যায়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এক পক্ষ অন্য পক্ষকে ধাওয়া দিয়ে শাহপরাণ হলের দিকে নিয়ে যায়। এসময় তিনটি ককটেল ও একটি গুলির আওয়াজ শোনা যায়।
পরবর্তীতে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে মিটিং করলেও কোনো সমাধানে আসতে পারেনি। সমাধান না হওয়ায় হলে অবস্থানরত দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
যোগাযোগ করা হলে মিসবাহ ও রাজু পরষ্পর পরষ্পরকে দায়ী করেন। ছাত্রলীগ সভাপতি পার্থ জানান, ভুল বুঝাবুঝিতে দু-জনের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্য়ায়ে কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। পরবর্তীতে আমরা মিটিং করে সমাধানের চেষ্টা করি।
সহ-সভাপতি আবু সাঈদ আকন্দ জানান, সে (রাজু) একসময় ছাত্রদল করত। আমার হাতে যথেষ্ট প্রমাণ আছে। তাছাড়া সে যৌন হয়রানির দায়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বর্তমানে বহিষ্কৃত। সে ক্যাম্পাসের প্রত্যেকটি ন্যাক্কারজনক ঘটনার সঙ্গে জড়িত। আমি প্রশাসন এবং ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দের কাছে তার বিচার দাবি করছি।
ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ইশরাত ইবনে ইসমাইলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মিটিংয়ে আছেন বলে ফোন কেটে দেন।
সিলেট মহানগর পুলিশের জালালাবাদ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আখতার হোসেন জানান, ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
আব্দুল্লাহ আল মনসুর/ এমএএস/বিএ