মেয়র তাপস

শ্যামপুর শিল্পাঞ্চল সড়ক প্রশস্ত করা হয়েছে, পারলে উড়োজাহাজ চলবে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৩৫ পিএম, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ফজলে নূর তাপস বলেছেন, এক সময় শ্যামপুর সড়ক থাকতো পানির নিচে। কাদা-পানিতে হেটে চলাফেরা করাও যেত না। শ্রমিকরা কারখানায় যেতে কষ্ট পেতেন, মালবাহী গাড়ি চলাচল করতে পারতো না।

এখন সেখানে আগের চিত্র নেই। এখন শ্যামপুর শিল্পাঞ্চলের অবকাঠামো এমনভাবে করা হয়েছে, শ্যামপুর শিল্পাঞ্চল সড়ক এমনভাবে প্রশস্ত করা হয়েছে পারলে উড়োজাহাজ চলাচল করতে পারবে। বড় বড় শিল্প গড়া যাবে।

সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিতে (এমসিসিআই) এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

এমসিসিআই সভাপতি সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক।

তাপস বলেন, শ্যামপুর শিল্পাঞ্চল সড়ক এমনভাবে প্রশস্ত করা হয়েছে সেখানে আর আগের মতো কাদা-পানি নেই। বড় বড় শিল্প কারখানা গড়ে তোলা যাবে। পুরান ঢাকার কেমিক্যাল কারখানা সরিয়ে নিতে সেখানে ৫০০টি গুদাম করা হয়েছে, যেটির উদ্বোধন করা হয়েছে। সবার সহযোগিতা পেলে সেখানে দ্রুত স্থানান্তর করা সম্ভব। কেমিক্যাল কারখানা মালিকরা সেখানে গেলে সঙ্গে সঙ্গেই তাদের লাইসেন্স নবায়ন করা হবে এত দিনে যেটা বন্ধ রাখা হয়েছিল।

তাপস বলেন, একসময় মতিঝিলকেন্দ্রীক ব্যবসা-বাণিজ্য গড়ে উঠতো, সেই মতিঝিল পুনর্জীবিত করা হবে। মতিঝিলের মতো চকবাজারকেও আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হবে। তবে চকবাজারের কোনো গাড়ি চলবে না। এমনভাবে কাজ চলছে সেখানে কোনো গাড়ি চলবে না। মানুষ হেঁটে হেঁটে তাদের পণ্য কিনবেন। চকবাজার গড়ে উঠবে যানবাহনবিহীন। আমরা কাজ করছি পুরান ঢাকার ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার জন্য। নদী কেন্দ্রীক পর্যটন করা আমাদের লক্ষ্য। কামরাঙ্গীচর বাণিজ্যিক হিসেবে গড়ে তুলতে দুই লাইনের সড়ককে আট লাইনে করা হবে আগামীতে।

পাঁচ বছর মেয়াদী ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন করে তাপস বলেন, প্রতিবছর ব্যবসায়ীরা ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করতে হয়রানির শিকার হতেন। নতুন এ কার্যক্রমের ফলে আর হয়রানির সুযোগ নেই, সব হবে অনলাইনে। কারো দপ্তরে আর দারস্ত হতে হবে না। প্রতিবছর ব্যবসায়ীরা ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করতে গিয়ে অনেক হয়রানির শিকার হতেন। হয়রানি বন্ধে ৫ বছরের জন্য ট্রেড লাইসেন্স চালু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ট্রেড লাইসেন্স সংক্রান্ত সব কাজ অনলাইন মাধ্যমে হবে। একজন ব্যবসায়ী মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করতে পারবেন। আমরা বলতে পারি এদিকে আমরা এখন আন্তর্জাতিক মানে পৌঁছে গিয়েছি। ব্যবসায়ীদের হয়রানি বন্ধে ট্রেড লাইসেন্স ৫ বছরের জন্য দেওয়া হবে। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত ও বিডার আওতায় যেসব ব্যবসায়ীরা কাজ করবেন সবাই এর সুফল পাবেন।

তিনি বলেন, ঢাকা শহরের ব্যবসায়ীদের নেতৃত্ব দিচ্ছে এমসিসিআই। মোট অভ্যন্তরীণ পণ্য উৎপাদনের ৪০ শতাংশ হয় ঢাকায়। অবকাঠামো উন্নয়নে হার্ড ও শফট উন্নয়ন হয়। আমরা মেট্রোরেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হওয়ার পর মানুষ আজ হার্ড অবকাঠামো উন্নয়নের সুফল পাচ্ছি। এর সঙ্গে শফট বিশেষ করে ডিজিটালি টিকেটিং ব্যবস্থা যোগ হওয়ায় ভোগান্তি নেই। ব্যবসায়ীরাও এর সুফল পাচ্ছেন। আগে ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন ও ব্যবসা কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে ব্যবসায়ীরা হয়রানির মুখে পড়তো। এতে ব্যবসায়ীক উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছিল। এখন আর কোনো হয়রানির মধ্যে পড়তে হবে না, কারো দপ্তরের দিনের পর দিন ঘুরতে হবো না।

এমসিসিআই সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, আগে ট্রেড লাইসেন্স ছিল স্বল্পমেয়াদের জন্য, বছরে বছরে নবায়ন করতে হতো। এতে প্রতিবছর ব্যবসায়ীদের হয়রানির মধ্যে পড়তে হতো। এএমসিসিআইর পক্ষে আমরা পলিসি মেকার ও সরকার প্রধানকে জানিয়েছিলাম। এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছেন, যার ফলশ্রুতিতে আজ ট্রেড লাইসেন্সের মেয়াদ ৫ বছর করা হলো।

ইএআর/এমআইএইচএস/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।