‘আজ পদ্মা-মেঘনা-যমুনা দূষণ-দখলকারীদের বিজয় হয়েছে’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:৪১ পিএম, ১৮ অক্টোবর ২০২৩

জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ায় পদ্মা, মেঘনা, যমুনার ভূমিদস্যু, জলদস্যু, বালুখেকো, দূষণকারী, দখলকারী- সকলের বিজয় হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চেয়ারম্যান ড. মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী।

বুধবার (১৮ অক্টোবর) টেলিফোনে জাগো নিউজের কাছে এক প্রতিক্রিয়ায় এ মন্তব্য করেন মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী।

নদী দখলদারদের সঙ্গে চাঁদপুরের একজন নারী মন্ত্রীর সম্পর্ক আছে- এমন বক্তব্য দেওয়ার ২৪ দিনের মধ্যে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরীকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অবশিষ্ট মেয়াদ বাতিল করে বুধবার (১৮ অক্টোবর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

বলা হয়, তিনি চাঁদপুরের নারী মন্ত্রী বলতে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনিকে ইঙ্গিত করেছিলেন। দীপু মনির নির্বাচনী এলাকা চাঁদপুর-৩ আসন (চাঁদপুর সদর-হাইমচর)।

নিয়োগ বাতিলের বিষয়ে জানতে চাইলে মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘আমি ১৬ মাস ধরে এখানে (নদী রক্ষা কমিশনে) আছি। পুরো সময়টা ধরে খুব খাটাখাটি করেছি। সরকার নিয়োগ দেয়, সরকারই আবার নিয়োগ বাতিল করতে পারে। সেটা সরকার করেছে। সেই বিষয়ে আমরা কোনো অভিযোগ নেই।’

তিনি বলেন, ‘বক্তব্য হলো আমি এ ১৬ মাস সততার সঙ্গে কাজ করেছি কি না। আমার কাজে কোনো শৈথিল্য ছিল কি না। এটা জনগণ, গণমাধ্যম বিচার করবে। তারা যদি বলে সঠিকভাবে কাজ করেছি, সৎভাবে কাজ করেছি। তবে আমি মনে করবো- আমি সফল। যদি বলে না, তবে আমি ব্যর্থ।’

আরও পড়ুন: সরিয়ে দেওয়া হলো নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যানকে

‘তবে একটা কথা বলি। পদ্মা, মেঘনা, যমুনার যত ভূমিদস্যু, জলদস্যু, বালুখেকো, দূষণকারী, দখলকারী- সকলের আজ বিজয় হয়েছে।’

নিয়োগ বাতিলের বিষয়ে সরকারের সঙ্গে কোনো কথা হয়নি বলেও জানান মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী।

তিনি আরও বলেন, ‘অল্পসময়ে দৃশ্যমান কিছু করতে পারিনি। আমি সন্তুষ্ট নই। কিন্তু আমার চেষ্টা ছিল কি না? মন্ত্রী-সচিব, রাজনীতিবিদরা যদি নদী দখলদারদের পক্ষে দাঁড়িয়ে যায়, তখন আমি ছোট একটা কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে আমি আর কী আর করতে পারি।’

গত ২৪ সেপ্টেম্বর বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান বলেছিলেন, নদী দখলদারদের পেছনে রাজনৈতিক শক্তি আছে। তিনি অভিযোগ করেছেন, মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে যারা বালু উত্তোলন করছেন, তাদের সঙ্গে চাঁদপুরের একজন নারী মন্ত্রীর সম্পর্ক আছে।

ওই বক্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি যে বক্তব্য দিয়েছি সেটা সঠিক। সকালে আমাকে এক পত্রিকা থেকে জিজ্ঞাসা করেছে। আমি বলেছি এটা আমরা দুদকে দিয়ে দেবো। এটা দুদকের অনুসন্ধান করা উচিত।’

আরএমএম/বিএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।