সাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’, বন্দরে ২ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:২৬ এএম, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি সুস্পষ্ট লঘুচাপ, নিম্নচাপ, গভীর নিম্নচাপের পর অবশেষে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার পর এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘মিগজাউম’।

এজন্য দেশের চারটি সমুদ্রবন্দরকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত নামিয়ে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

রোববার (৩ ডিসেম্বর) সকালে আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া অধিদপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর-পশ্চিম দিকে ভারতের উপকূলের দিকে এগোচ্ছে। এটি বাংলাদেশে আঘাত হানবে না বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় সতর্কতা সংকেতের কোনটির অর্থ কী?

অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’ -এ পরিণত হয়েছে। এটি রোববার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৫৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৫২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৪৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৪৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুদ্ধ রয়েছে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব ধরনের মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড়ের নাম কেন নারীর নামে হয়? জানুন রহস্য

ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, গভীর নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। এরপর এটি পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছাবে। এরপর এটি দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল ঘেঁষে এগিয়ে মঙ্গলবার নাগাদ ঘূর্ণিঝড় হিসেবে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার (ডব্লিউএমও) অধীন জাতিসংঘের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সাগর তীরের ১৩ দেশের (বাংলাদেশ, মিয়ানমার, ভারত, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, ওমান, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরান, সৌদি আরব ও ইয়েমেন) আবহাওয়াবিদদের সংস্থা এস্কেপ ঘূর্ণিঝড়ের নাম দিয়ে থাকে। ‘মিগজাউম’ নামটি মিয়ানমারের দেওয়া।

চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তখন দেশের দক্ষিণ এবং মধ্যাঞ্চলে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

আরএমএম/কেএসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।