বাজার কারসাজিতে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৩৬ পিএম, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩
ফাইল ছবি

বাজার সিন্ডিকেট, অতি মুনাফালোভী এবং বাজার কারসাজির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে দাবি করে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদানের দাবি করেছে বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজ।

রোববার (১০ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহমেদ ও সদস্যসচিব একেএম খোরশেদ আলম এ দাবি জানান।

তারা বলেন, দেশে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী যারা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার সিন্ডিকেট করে মূল্য বাড়িয়ে দিচ্ছে এবং লুটে নিচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকা। এরা মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী, একই সঙ্গে তারা দেশদ্রোহী। ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে ৯০ টাকা কেজির পেঁয়াজ এক লাফে ১৮০ থেকে ২২০ টাকা হয়ে যায়। পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকা সত্ত্বেও হঠাৎ করে বাজার থেকে সরবরাহ কমিয়ে মজুতদার মজুতদারি করা শুরু করে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, আজ বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। এর একদিন আগেই এসব অসৎ ব্যবসায়ী বাজার থেকে জনগণকে জিম্মি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তাই এদের মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী বললে ভুল হবে না। সাধারণ মানুষের যখন ‘নুন আনতে পান্তা ফুরিয়ে যায়’ পরিস্থিতি, সেসময় এসব অসৎ ব্যবসায়ী দেশ ও জনগণের কথা না ভেবে শুধু নিজেদের পকেট ভারী করার জন্য বাজারে নৈরাজ্য তৈরি করছে।

আরও পড়ুন: একদিনে পেঁয়াজের দাম ৮০ টাকা বাড়ে কীভাবে, প্রশ্ন বাণিজ্যসচিবের

বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তর কেবলমাত্র জরিমানার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে, যা দিয়ে কোনোভাবেই বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। এসব অসৎ ছোট ব্যবসায়ী যখন হাজার হাজার টাকা মুনাফা করে তখন তার কাছে ২০-৫০ হাজার টাকা জরিমানা গোনা কোনো বিষয় না। তারা মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী, তাই তাদের সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনা না গেলে বাজার নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব না। ভোক্তা অধিদপ্তরের ফৌজদারি মামলা দায়ের করার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও আজ পর্যন্ত জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তর এ ধরনের মামলা রুজু করেনি। অন্যদিকে প্রতিযোগিতা কমিশন বাজার নিয়ন্ত্রণে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে।

‘টিসিবির ট্রাকসেল কেন বাজারে প্রতিযোগিতা তৈরিতে ভূমিকা রাখতে পারছে না বা এই পণ্য নিম্ন-মধ্যবিত্ত বা মধ্যবিত্ত পরিবারের হাতে কেন পৌঁছাচ্ছে না সেটিও আমাদের কাছে বোধগম্য নয়।’

তারা আরও বলেন, নির্বাচনের আগে বাজারে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হবে এটা সরকারের বোঝা উচিত। তাই দ্রুত বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে সরকারকে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল ফোর্স তৈরি করে বা উপযুক্ত আদালত তৈরি করে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। তবেই বাজার নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আমরা মনে করি। পাশাপাশি বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ যাতে নিশ্চিত হয় সে ব্যাপারে সরকারকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।

এনএইচ/ইএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।