মৎস্য অধিদপ্তরের নতুন মহাপরিচালক সৈয়দ আলমগীর

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৫৪ পিএম, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩

মৎস্য অধিদপ্তরের ২০তম মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন সৈয়দ মো. আলমগীর। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে গত ২৮ ডিসেম্বর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব হেমায়েত হোসেনের স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয় মৎস্য অধিদপ্তরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাকে (পরিকল্পনা ও জরিপ) পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হলো। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে ৩০ ডিসেম্বর কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী শনিবার সকাল ১০টায় মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে তিনি আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব গ্রহণ করেন। দায়িত্ব গ্রহণ শেষে ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

এসময় তিনি বলেন, ডিজি কোনো ব্যক্তি নয়, এ পদটি নিজেই একটি প্রতিষ্ঠান। সবার আন্তরিক সহযোগিতায় এ প্রতিষ্ঠান সুনামের সহিত আরও এগিয়ে যাবে। শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বজুড়ে এ প্রতিষ্ঠানের সুনাম ছড়িয়ে পড়বে।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপ্ন দেখেছিলেন সুখি-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার। তারই পথ অনুসরণ করে শেখ হাসিনা প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার। আমি আশা করি আমরা আমাদের মেধা ও যোগ্যতা সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে ২০৪১ সালের আগেই বাংলাদেশ স্মার্ট দেশে পরিণিত হবে।

এর আগে তিনি মৎস্য অধিদপ্তরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (পরিকল্পনা ও জরিপ) এবং অভ্যন্তরীণ মৎস্য পরিচালকের অতিরিক্ত দায়িত্বে ছিলেন। এছাড়াও তিনি জেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ঢাকা), উপ-পরিচালক (ঢাকা বিভাগ), মৎস্য অধিদপ্তরে উপ-পরিচালক (প্রশাসন) দায়িত্ব পালন করেন।

সৈয়দ মো. আলমগীর ১৯৯৫ সাল থেকে বিভাগীয় প্রশিক্ষক হিসেবে নির্বাচিত হয়ে মৎস্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। ১৯৯৯ সালের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাজ্যের ব্রাইটনে প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ কোর্স সম্পন্ন করেন।

তিনি ১১তম বিসিএস-এ মৎস্য ক্যাডারে প্রথম স্থান অধিকার করে ১৯৯৩ সালে মৎস্য অধিদপ্তরে যোগদান করেন। তিনি ঢাকা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা হিসেবে ২০১৭ সালে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ দিবস উপলক্ষে নির্বাচিত স্লোগান ‘মাছ চাষে গড়বো দেশ, বদলে দেব বাংলাদেশ’ এর রচয়িতা হিসেবে শ্রেষ্ঠ পুরস্কার পেয়েছেন। ২০১৯ সালে মৎস্য সম্পদ উন্নয়নে ব্যক্তি অবদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে জাতীয় মৎস্য পুরস্কার হিসেবে স্বর্ণপদক পান। পাশাপাশি ২০২২-২৩ অর্থবছরে মৎস্য অধিদপ্তরের জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার পেয়েছেন। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু ফিশারিজ পরিষদের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলার কাজিপাড়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অন্নদা সরকারি উচ্চবিদ্যালয় থেকে ১৯৮১ সালে প্রথম বিভাগে মাধ্যমিক এবং কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে ১৯৮৩ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরবর্তীতে ১৯৮৭ সালে তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ থেকে মৎস্য বিষয়ে প্রথম শ্রেণিতে স্নাতক ডিগ্রি এবং একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৮ সালে ফিশারিজ টেকনোলজি বিষয়ে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন।

আইএইচআর/এমআইএইচএস/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।