রমজানে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে ভারতের সহায়তা চায় বাংলাদেশ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:০৪ পিএম, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

আসন্ন পবিত্র রমজানে দেশের বাজারে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে প্রতিবেশী দেশ ভারতের সহযোগিতা চাইলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ।

সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সচিবালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে মন্ত্রী এ সহায়তা চান।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈঠকে দুদেশের কৃষিখাতে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। ভারতের উদ্ভাবিত বিভিন্ন ফসলের উচ্চফলনশীল জাত বাংলাদেশে অবমুক্তি, চাষ ও বীজ উৎপাদনের জন্য ভারতের সহযোগিতা কামনা করেন মন্ত্রী। সীমান্তমুক্ত বীজের প্রস্তাবও দেন তিনি।

আরও পড়ুন: রমজানে চার নিত্যপণ্যের শুল্ক কমানো ঘোষণাতেই আটকা

এছাড়া সেচকাজে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার এবং বাংলাদেশকে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞামুক্ত রেখে রমজান মাসে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে ভারতের সহযোগিতা কামনা করেন ড. শহীদ।

এসময় ভারতের হাইকমিশনার বলেন, ভারতেও মাঝেমধ্যে কোনো কোনো পণ্যের ঘাটতি দেখা দেয়, দাম বেড়ে যায়। সেজন্য অনেক সময় রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে অনেক সময় বিশেষ ছাড় বা স্পেশাল এক্সেমশন দেওয়া হয়ে থাকে।

কৃষি গবেষণা জোরদার করতে দুদেশের একসঙ্গে কাজ করার ওপরও গুরুত্বারোপ করা হয় বৈঠকে। শিগগির উচ্চপর্যায়ের সায়েন্টিফিক ভিজিটের মাধ্যমে গবেষণার অগ্রাধিকার খাত চিহ্নিত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তি বিশেষ করে ড্রোনের ব্যবহার, এগ্রো-প্রসেসিং, পোস্ট হার্ভেস্ট ব্যবস্থাপনা, কোল্ড স্টোরেজ স্থাপন প্রভৃতি বিষয়ে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করার আগ্রহ প্রকাশ করেন প্রণয় ভার্মা।

এসময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, ভারত আমাদের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত বন্ধু। স্বাধীনতার সময় থেকে তারা সবসময় আমাদের পাশে আছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমরা ভারতে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলাম। প্রায় এক কোটি মানুষকে ভারতে আশ্রয় দিয়েছিল, বিভিন্ন রকম সহযোগিতা করেছিল। কখনো মনে হয়নি আমরা রিফিউজি হিসেবে ভারতে আছি।

আরও পড়ুন: পণ্যের সংকট নেই, সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা

পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী বলেন, ফসলের উন্নত জাতের বীজ সীমান্তমুক্ত থাকলে আমরা ফসলের উৎপাদন আরও বাড়াতে পারবো। খাদ্যে উদ্বৃত্ত হওয়াও সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, গবেষণা ছাড়া কোনো জাতির উন্নয়ন সম্ভব নয়। কৃষি গবেষণায় আমরা দুদেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে চাই। দেশে আমরা কৃষি গবেষণার সুযোগ-সুবিধা ও বিজ্ঞানীর সংখ্যা বাড়াতে চেষ্টা করবো।

আরএমএম/এমকেআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।