ঢাকা রোড ট্রাফিক সেফটি প্রকল্পের চতুর্থ সমন্বয় সভা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:১০ এএম, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ও জাপান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (জাইকা) উদ্যোগে ‘ঢাকা রোড ট্রাফিক সেফটি প্রজেক্ট (ডিআরএসপি)’ নিয়ে চতুর্থ যৌথ সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) প্রকল্প পরিচালক-ডিআরএসপি ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমানের সভাপতিত্বে ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষে এ সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভার শুরুতে ডিএমপি এবং জাইকা বিশেষজ্ঞ দলের গত ছয় মাসে অর্জিত ডিআরএসপির সামগ্রিক কার্যকলাপের অগ্রগতি উপস্থাপন করা হয়।

ঢাকা রোড ট্রাফিক সেফটি প্রকল্পের চতুর্থ সমন্বয় সভা

ঢাকা রোড ট্রাফিক সেফটি প্রজেক্ট (ডিআরএসপি) সম্পর্কে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান বলেন, ডিআরএসপি এবং প্রশিক্ষক হিসেবে প্রশিক্ষিত ডিএমপির তিনজন কর্মকর্তা এ পর্যন্ত তিনটি স্কুলে ব্যবহারিক ও অংশগ্রহণমূলক শিক্ষা কর্মসূচি (পিপিইপি) নামে একটি সড়ক নিরাপত্তা শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ভবিষ্যতে আরও সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে। ২৩ অক্টোবর সড়ক নিরাপত্তা দিবসের কর্মসূচিতে ডিআরএসপি ও ডিএমপি অংশ নেয়। ইভেন্ট চলাকালীন সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে নাগরিকদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে ব্যানার এবং প্যামফলেট তৈরি করা হয়।

তিনি বলেন, একই সঙ্গে শিশুদের মধ্যে সড়ক নিরাপত্তা সচেতনতা বাড়াতে একসঙ্গে কাজ করার জন্য ডিএমপি এবং সিসিমপুর গত ২২ নভেম্বর একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে।

ডিআরএসপির সুবিধা সম্পর্কে মুনিবুর রহমান বলেন, এ প্রজেক্টের তিনটি আউটপুট আছে। সেফটি এডুকেশন, ট্রাফিক অ্যাক্সিডেন্ট রিপোর্ট এনালাইসিস ও ট্রাফিক এনফোর্সমেন্ট। ট্রাফিকের বেসিক রুলসই হচ্ছে ট্রাফিক সেফটি এডুকেশন। ঢাকা শহরে দুই কোটির বেশি মানুষ আছে। তারা সবাই ট্রাফিকের অংশীদার। সবাই কিন্তু রাস্তায় বের হয় এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার আওতায় সবাই চলে আসে।

ঢাকা রোড ট্রাফিক সেফটি প্রকল্পের চতুর্থ সমন্বয় সভা

সমন্বয় সভায় ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জাইকার কর্মকর্তা, জাইকার এক্সপার্ট টিম, বিআরটিএ, বিআরটিসি, ডিটিসিএ, ডিএনসিসি ও ডিএসসিসির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্তৃক ঢাকা রোড ট্রাফিক সেফটি প্রজেক্ট (ডিআরএসপি) ঢাকা মহানগর এলাকায় ২০২২ সালের মার্চ থেকে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) সহযোগিতায় বাস্তবায়িত হচ্ছে।

প্রকল্পের আউটপুটগুলো সঠিকভাবে সম্পন্ন করার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি), বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ), বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি), ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ), ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি (ডিএসসিসি) প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে যৌথ সমন্বয় কমিটি (জেসিসি) গঠন করা হয়েছে।

টিটি/এমআইএইচএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।