অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে যাত্রীদের সবকিছু কেড়ে নিতেন তারা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:০৮ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, ডেমরা ও আশপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৪ ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ওয়ারী বিভাগের বিভিন্ন থানা পুলিশ।

গ্রেফতাররা হলেন- বাপ্পারাজ বাপ্পী (২২), পারভেজ (২৮), রাশেদ আহাম্মদ (২২), আবু সাদ লিখন (২২), হৃদয় (২৫), কাউসার (২৩), রাব্বি (২৬), নাঈম (২৫), সাগর (২২), আসিফ আলী উজ্জ্বল (২৬), সানজু মিয়া ও সুমন মিয়া (২৪)।

বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ওয়ারীতে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন।

তিনি বলেন, যাত্রাবাড়ী দিয়ে দেশের ৪০টি জেলায় যাতায়াত করেন যাত্রীরা। ফলে দিনরাত ২৪ ঘণ্টাই এ এলাকায় গাড়ি চলাচল করে। রাতের আঁধারে সমান তালে ব্যস্ত থাকায় এ এলাকায় প্রায়ই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ডেমরা থেকে ছিনতাইয়ের সময় হাতেনাতে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া ওয়ারী ও গেণ্ডারিয়া এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে ১২জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ৫ থেকে ৬টিরও বেশি মামলা রয়েছে। গ্রেফতারদের মধ্যে সুমন নামের একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে যিনি তিনদিন আগে জেল থেকে জামিনে বের হয়েছে। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে ছয়টি মোবাইল, দুটি চাকু, একটি ব্লেড ও ৫০ গ্রাম মরিচের গুঁড়া উদ্ধার করা হয়েছে।

অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে যাত্রীদের সবকিছু কেড়ে নিতেন তারা

ডিসি আরও বলেন, গ্রেফতারদের সবার বয়স ১৫ থেকে ২০ এর মধ্যে। তারা রাতের-বেলা মহাসড়কসহ বিভিন্ন অলিগলিতে ওত পেতে থাকে। যখন বিভিন্ন জেলা থেকে সাধারণ মানুষ ঢাকায় এসে নামে অথবা ঢাকা থেকে যাওয়ার জন্য রাস্তায় বের হয় তখন তারা ওই সব যাত্রীদের অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ছিনতাই করে।

তিনি বলেন, আমরা বাপ্পা নামের একটি ছেলেকে গ্রেফতার করেছি। তার বাড়ি কক্সবাজারে। তার বিরুদ্ধে ৬টি ছিনতাইয়ের মামলা রয়েছে। তার কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এক প্রশ্নের জবাবে ডিসি মোহাম্মদ ইকবাল বলেন, আমরা অপরাধীদের নিয়মিত নজরদারিতে রাখি। কিন্তু তাদের সংখ্যাটা অনেক বেশি। এছাড়া তারা জামিন পেয়ে এলাকা পরিবর্তন করে। যাত্রাবাড়ী এলাকায় অপরাধ করে গ্রেফতার হলে জেল থেকে বের হয়ে মিরপুর এলাকায় চলে যায়। তখন তাকে নজরদারিতে রাখা কষ্ট হয়। তবে, ডিএমপির ক্রাইম বিভাগের পক্ষ থেকে নজরদারি করার জন্য টিম রয়েছে। পাশাপাশি ছিনতাই প্রতিরোধে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। এ টাস্কফোর্সটির তদারকি ডিএমপি কমিশনার নিজেই করেন। ফলে ঢাকায় প্রতিনিয়ত অভিযান চলছে।

তিনি বলেন, ডিএমপির ওয়ারী বিভাগে এরই মধ্যে তিনজন অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) ও তিনজন সহকারী পুলিশ কমিশনারকে (এসি) নিয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। আমি নিজেও তাদের সঙ্গে কাজ করছি। প্রতিদিন রাতে ওয়ারী বিভাগের ৩৬টি টিম কাজ করে। ফলে অনেকেই গ্রেফতার হচ্ছে। ছিনতাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। ছিনতাই মুক্ত করতে যা যা করা দরকার করবো।

আরেক প্রশ্নের জবাবে ডিসি ইকবাল বলেন, ঢাকা শহরে যানজট একটি বড় সমস্যা। আমরা এ বিষয়টি মাথায় রেখে যানজট নিরসনে বেশকিছু উদ্যোগ নিয়েছি। ওয়ারী বিভাগের ট্রাফিক বিভাগকে সঙ্গে নিয়ে আমরা কাজ করছি। এরই মধ্যে স্কুল-কলেজের সামনে থেকে হকার ও গাড়ি পার্কিং বন্ধ করা হয়েছে। যাতে স্কুলে যাতায়াত সহজ হয়। দ্রুতই ভালো ফলাফল পাবে আশা করি।

টিটি/এমএএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।