সাব-রেজিস্ট্রার পদ ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে আসছে না: আইনমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:২৭ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

সাব-রেজিস্ট্রার পদগুলো আইন ও বিচার বিভাগ থেকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পরিকল্পনা সরকারের নেই বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।

বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে স্বতন্ত্র সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে আইনমন্ত্রী এ কথা জানান। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

আনিসুল হক বলেন, আইন অনুযায়ী রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত বিষয়াদি আইন ও বিচার বিভাগের কর্মপরিধিভুক্ত। ফলে সাব-রেজিস্ট্রি অফিস এবং সাব-রেজিস্ট্রার পদ আইন ও বিচার বিভাগের অধীন প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন অধিদপ্তরের আওতায় থাকাই যৌক্তিক। সাব-রেজিস্ট্রার পদ আইন ও বিচার বিভাগ থেকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই। রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত বিষয় আইন ও বিচার বিভাগের আওতাধীন থাকার ব্যাপারটি নিষ্পত্তিকৃত বিষয়।

তিনি বলেন, ভূমি অফিস ও সাব-রেজিস্ট্রি অফিসকে স্ব-স্ব প্রশাসনিক এখতিয়ারের মধ্যে রেখে সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসের সঙ্গে সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের একটি আন্তঃসংযোগ স্থাপন প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন। এ স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসকে স্ব-স্ব প্রশাসনিক এখতিয়ারের মধ্যে রেখে এরই মধ্যে আন্তঃসংযোগ স্থাপন করা হয়েছে।

আনিসুল হক বলেন, ঢাকার উত্তরা, খিলগাঁও, গুলশান, সাভার, চট্টগ্রামের আনোয়ারা, পাহাড়তলী, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা, কুষ্টিয়ার কুমারখালী, টাঙ্গাইলের বাসাইল, নাগরপুর, রাজশাহীর চারঘাট, সিলেটের তাজপুর, দিনাজপুরের চিরিরবন্দর, ময়মনসিংহের নান্দাইল এবং বরিশালের হিজলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ডিজিটাল পদ্ধতিতে দলিল রেজিস্ট্রি হচ্ছে। এসব অফিসের সঙ্গে সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসের আন্তঃসংযোগ স্থাপিত হয়েছে। ২০২১ সালের ১০ জুন থেকে ২০২৪ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ওই ১৭টি সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে মোট এক লাখ ৪ হাজার ১১৬টি দলিল ই-রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমে নিবন্ধিত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আগে দলিল নিবন্ধনের পর সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে ল্যান্ড ট্রান্সফার (এলটি) নোটিশ পাঠাতে বিলম্ব হতো। ই-রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে দলিল নিবন্ধনের সঙ্গে সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এলটি নোটিশ সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে পাঠানো হয়। এর মাধ্যমে সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিস দ্রুততম সময়ে নামজারি কার্যক্রম গ্রহণ করতে পারেন।

অপরদিকে, এই আন্তঃসংযোগের মাধ্যমে সাব-রেজিস্ট্রাররা কোনো দলিল নিবন্ধনের আগে নামজারির সর্বশেষ অবস্থান দেখতে পান। ফলে ভূমির শ্রেণি পরিবর্তন ও জাল খতিয়ানের মাধ্যমে দলিল নিবন্ধন বন্ধ হয়েছে, রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা কমেছে। স্বল্প সময়ে ও কম খরচে মানসম্মত সেবা নিশ্চিত হয়েছে, যোগ করেন মন্ত্রী।

আইএইচআর/কেএসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।