হত্যার ৯ বছর পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেফতার
![হত্যার ৯ বছর পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেফতার](https://cdn.jagonews24.com/media/imgAllNew/BG/2023March/faysal-20240227164058.jpg)
রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় দৈনিক বণিক বার্তার বিজ্ঞাপন বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর আলম কাওছার (৩৮) হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি এ এম এম ফয়সাল ওরফে পেডিকে (৩১) গ্রেফতার করেছে র্যাব-২।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) র্যাব-২ এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র এএসপি শিহাব করিম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গ্রেফতার ফয়সাল মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মাহতাব উদ্দিনের ছেলে। তিনি ৯ বছর ধরে পলাতক ছিলেন। নিহত জাহাঙ্গীর আলম কাওছার বণিক বার্তা পত্রিকার বিজ্ঞাপন বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ঘটনার দিন ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টার দিকে বাসা থেকে মোটরসাইকেলযোগে অফিসের উদ্দেশ্যে বের হন তিনি। অফিসের কাজ শেষ করে বাসায় ফেরার সময় হলেও বাসায় ফিরতে দেরি দেখে তার স্ত্রী মোবাইল ফোনে কল করলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে তিনি কাওছারের অফিসসহ আত্মীয়স্বজনদের বাসায় যোগাযোগ করেন। কোথাও সন্ধান না পাওয়ায় জাহাঙ্গীরের স্ত্রী তেজগাঁও থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন।
এএসপি শিহাব করিম বলেন, ঘটনার তিনদিন পর ১৮ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টার দিকে কাওছারের স্ত্রী জানতে পারেন, খিলক্ষেতের নামাপাড়া বোডঘাট এলাকায় ৩৫-৩৬ বছর বয়সের একজন অজ্ঞাতপরিচয় পুরুষের মরদেহ একটি বাড়ির পঞ্চম তলায় লাগেজের মধ্যে রয়েছে। তার স্ত্রী খিলক্ষেত থানা পুলিশের সহায়তায় ওই বাড়িটির পঞ্চম তলায় ফ্ল্যাটের রুমের ভেতর লাগেজ থেকে গলায় বৈদ্যুতিক তার প্যাঁচানো ও চোখ গামছা দিয়ে বাঁধা ও সারা শরীর ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় স্বামীর মরদেহ শনাক্ত করেন।
এ ঘটনায় নিহত জাহাঙ্গীরের স্ত্রী খিলক্ষেত থানায় ফয়সাল ওরফে পেডিকে প্রধান আসামি ও তিন-চারজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার পর থেকেই আসামি পলাতক ছিলেন।
পরবর্তী সময়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে ফয়সাল পেডির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেন। আদালত বিচারকার্য শেষে আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন। তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারিও করেন।
গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর থেকে আসামি ফয়সাল দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে ছিলেন। তাকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-২ এর একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায়। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব সদরদপ্তর গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-২ অভিযান পরিচালনা করে সোমবার রাত ৮টা ১০ মিনিটের দিকে রাজধানীর তুরাগ থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
এ মামলা ছাড়াও আসামি ফয়সাল পেডির নামে আরও দুটি হত্যা মামলা এবং একটি বিস্ফোরক আইনের মামলা রয়েছে।
টিটি/এমকেআর/এমএস