অবৈধ সম্পদ: স্ত্রীসহ সাবেক পুলিশ পরিদর্শকের বিরুদ্ধে মামলা
![অবৈধ সম্পদ: স্ত্রীসহ সাবেক পুলিশ পরিদর্শকের বিরুদ্ধে মামলা](https://cdn.jagonews24.com/media/imgAllNew/BG/2023March/dudok-20240228160945.jpg)
২৫ লাখ ১৩ হাজার ৬১৬ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক পুলিশ পরিদর্শক এ কে এম মনজুর আলমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় মনজুর আলমের স্ত্রী নার্গিস আক্তারকেও আসামি করা হয়েছে।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুদকের সহকারী পরিচালক পাপন কুমার সাহা বাদী হয়ে সংস্থাটির কুমিল্লার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে এ মামলা করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামি নার্গিস আক্তার বর্তমানে স্বামী-সন্তানসহ আমেরিকায় বসবাস করছেন। তিনি একজন পৃথক আয়করদাতা। তিনি মৎস্য এবং হস্ত ও কুটির শিল্পের ব্যবসা করেছেন। সুনির্দিষ্ট দুর্নীতির অভিযোগে আসামিদের সম্পদ বিবরণী তলব করে দুদক।
অনুসন্ধানকালে নার্গিস আক্তারের নিজ নামে ৯১ লাখ ৪৮ হাজার ৮০০ টাকা আয়ের তথ্য পাওয়া যায়। তার আয়কর নথি পর্যালোচনায় সম্পদ অর্জনকালীন পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয় বাবদ ১৯ লাখ ৪৬ হাজার ৫০০ টাকা ব্যয়ের তথ্য পাওয়া যায়। এছাড়া মৎস্য খামার ভাড়া বাবদ তিনি ২০১৫ সালে ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করেছেন বলে দুদককে জানান।
এতে তার মোট ব্যয় দাঁড়ায় ২৮ লাখ ৯৬ হাজার ৫০০ টাকা। আয় থেকে ব্যয় বাদ দিলে নার্গিস আক্তারের ৬২ লাখ ৫২ হাজার ৩০০ টাকার সম্পদ বা সঞ্চয় থাকার কথা। তবে অনুসন্ধানে তার মোট ৮৭ লাখ ৬৫ হাজার ৯১৬ টাকার সম্পদ পাওয়া যায়। ফলে আসামি ২৫ লাখ ১৩ হাজার ৬১৬ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনপূর্বক ভোগদখলে রেখেছেন।
নার্গিস আক্তারের সম্পদের মধ্যে রয়েছে- ঢাকা জেলার সাভার থানাধীন গেন্ডা মৌজায় এস,এ-২০৯ নম্বর খতিয়ানভুক্ত ৬০৫ দাগে ১৩ দশমিক ৫০ শতাংশ কৃষি নাল জমি, মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া থানাধীন আয়নাপুর মৌজায় এস,এ- ৪৫২ ও ৪৫৪ ভুক্ত ৬২৫, ৬২৬, ৬২৭ ও ৬২৮ দাগে ৫ দশমিক ৫০ শতাংশ নাল জমি; মিরপুরের পাইকপাড়া মৌজায় এস,এ-২৭৯ নম্বর খতিয়ানভুক্ত ৩৫৫ দাগে ৪ কাঠা বা ০৬৬০ অযুতাংশ নাল জমি, মিরপুরে পাইকপাড়া মৌজার জমিতে নির্মাণাধীন দালান, ডাচ্ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড ও এবি ব্যাংক লিমিটেডের বিভিন্ন শাখায় তার ১২ লাখের বেশি টাকা স্থিতি।
দুদক জানায়, আসামি নার্গিসের সম্পদসমূহ নিজের নামে অর্জিত মর্মে দেখানো হলেও মূলত সম্পদগুলো তার স্বামীর অর্থে কেনা বা অর্জিত। তার ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প ব্যবসার আয়ের কোনো রেকর্ডপত্র, ভাউচার বা হিসাবপত্র ইত্যাদি পাওয়া যায়নি।
এসএম/এমকেআর/জিকেএস