পুনর্বাসনের দাবিতে চট্টগ্রামে হকারদের সড়ক অবরোধ
পুনর্বাসনসহ ছয় দফা দাবিতে চট্টগ্রাম নগরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন হকাররা। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত নগরের কদমতলী-টাইগারপাস সড়কে বিক্ষোভ করেন তারা। পরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র বরাবর স্মারকলিপি দেন হকাররা।
এ সময় নগরের ব্যস্ততম ওই সড়কে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজট। হকাররা এসময় ‘পুনর্বাসন চাই, করতে হবে’, ‘পরিকল্পিত পুনর্বাসন চাই’, ‘নিরীহ হকারদের বিরুদ্ধে দায়ের মামলা প্রত্যাহার করো’ লেখা ব্যানার ও ফ্যাস্টুন প্রদর্শন করেন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। হকাররা কদমতলী-টাইগারপাস সড়কের একপাশ বন্ধ করে বিক্ষোভ করেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে তারা বলেন, হকারদের উচ্ছেদ করার পর ২০ দিন কেটে গেছে। আমরা উপোস করে দিন কাটাচ্ছি, কেউ আমাদের খবর নেয়নি। সামনে রমজান মাস, এরপর ঈদুল ফিতর। রমজানের আগে আমাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করলে রাজপথে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
হকারদের ছয় দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- রমজান মাস সামনে রেখে পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ না করা, মামলা প্রত্যাহার, পরিচয়পত্র প্রদান ও জাতীয় শ্রমনীতি-২০১২ বিবেচনায় নিয়ে ‘হকার নীতিমালা’ তৈরি।
চট্টগ্রাম নগরের খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নেয়ামত উল্লাহ জাগো নিউজকে বলেন, দুপুর ১২টার দিকে কয়েকশ হকার পলোগ্রাউন্ড এলাকা থেকে মিছিল সহকারে সিটি করপোরেশন কার্যালয়ের দিকে এগোতে থাকেন। এক পর্যায়ে তারা টাইগারপাস এলাকায় রাস্তা বন্ধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে পুলিশ তাদের ১০ জনের একটি প্রতিনিধি দলকে সিটি করপোরেশন অফিসে স্মারকলিপি দিতে সহায়তা করে।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি নগরের প্রায় দেড় কিলোমিটার সড়কে ফুটপাতের ওপর বসানো অবৈধ দোকান ও স্থাপনা উচ্ছেদ করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। এ সময় প্রায় ৭০০ থেকে ৮০০ অবৈধ স্থাপনা ও দোকান উচ্ছেদ করা হয়। সড়ক ও ফুটপাতের জায়গা দখল করে এসব স্থাপনা গড়ে উঠেছিল। তবে পুনর্বাসন ছাড়াই উচ্ছেদ শুরু করায় সেদিন থেকেই বিক্ষোভে নামেন হকাররা। ১২ ফেব্রুয়ারি ফুটপাত পুনর্দখল ঠেকাতে অভিযানে গেলে নগরের রেলস্টেশন এলাকায় হকারদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।
এএজেড/কেএসআর/জিকেএস
