বিএনপি-জামায়াত নীরবে ইসরায়েলি গণহত্যার পক্ষ নিয়েছে

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হত্যাযজ্ঞের বিষয়ে নীরব ভূমিকায় থেকে বিএনপি-জামায়াত গণহত্যার পক্ষ নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেছেন, আজ পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াত একটি শব্দও উচ্চারণ করেনি। তারা চুপ থেকে এই গণহত্যার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে ফিলিস্তিনে নারী ও শিশুহত্যা বন্ধের দাবিতে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সমাবেশ ও মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গাজায় প্রায় ত্রিশ হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, যার বেশিরভাগ নারী ও শিশু। সেখানে হাসপাতালে হামলা করা হচ্ছে, অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে, হাসপাতালের বিদ্যুৎ লাইন ধ্বংস করা হয়েছে, যার কারণে অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে। ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা মানুষের ওপরও হামলা করা হয়েছে। একবিংশ শতাব্দিতে এটি ভাবা যায় না। তবুও বিশ্বমোড়লরা নির্বাক। আরব বিশ্ব যে ভূমিকা রাখার দরকার ছিল, সাধারণ মানুষের ধারণা তারা সেখানে সে ভূমিকা রাখেনি।

দেশে রাজনীতির প্রসঙ্গ টেনে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি-জামায়াত ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে তো কিছু বলেইনি, বরং ইসরায়েলি বাহিনীর অনুকরণে তারা দেশে সহিংসতা ঘটিয়েছে, পুলিশ হাসপাতালে হামলা করেছে। তারা ইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে, ইসরায়েলের দোসরে পরিণত হয়েছে। জামায়াত নাকি ইসলাম কায়েম করতে চায়, অথচ তারা এখন পর্যন্ত একটি শব্দ বললো না কেন? তারা চেহারা দেখায় কী করে? তারা নীরবে ইসরায়েলের পক্ষে হাত বাড়িয়েছে।

তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত ভেবেছিল নির্বাচনের পর বিশ্ব শেখ হাসিনার সরকারকে স্বীকৃতি দেয় কি না! প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ৭৮টি দেশ ও জাতিসংঘসহ ৩২টি সংস্থা অভিনন্দন জানানোর পরে এখন তাদের আর কোনো কথা নেই। এখন নিজেরা নিজেদের প্রশ্ন করে- ‘ভাই কী হলো?’ বিএনপি নেতারা এখন চ্যালেঞ্জের মুখে, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান চ্যালেঞ্জের মুখে। কর্মীরা এখন তাদের নেতাদের বলে- ‘আপনারা নেতৃত্ব দেওয়ার অযোগ্য’।

শেখ হাসিনার বর্তমান সরকার অতীতের যে কোনো সরকারের চেয়ে বেশি শক্তিশালী উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শুধু দেশের উন্নয়নেই নয়, বঙ্গবন্ধুকন্যা বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায়ও ভূমিকা রেখেছেন। ৪ ও ৫ মার্চ আমি ওআইসির সম্মেলনে যোগ দেবো। প্রধানমন্ত্রী আমাকে ওআইসির সম্মেলনে গিয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বক্তব্য তুলে ধরতে বলেছেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি যিনি নিজে আগ্রহ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন, তাকেও প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ বন্ধ করতে বলেছেন।

বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সভাপতি ডা. অরূপ রতন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানার উপস্থাপনায় আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য বলরাম পোদ্দার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম মুরাদ, স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের একুশে পদকপ্রাপ্ত শিল্পী মনোরঞ্জন ঘোষাল, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের অন্য সহ-সভাপতি রেদওয়ান খন্দকার, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন হালদার, প্রচার সম্পাদক মীযানুর রহমান, ডিইউজের সহ-সভাপতি মানিক লাল ঘোষ প্রমুখ সমাবেশ ও মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন।

আইএইচআর/এমকেআর/এমএস