ডিসি সম্মেলন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:২৬ পিএম, ০৩ মার্চ ২০২৪

চার দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন-২০২৪ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (৩ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে থেকে তিনি এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেনের সূচনা বক্তব্যে শুরু হওয়া সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন- জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম, গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল ও চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।

গত বছরের মতো এবার জেলা প্রশাসক সম্মেলনের মূল ভেন্যু রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন। এবার ডিসি সম্মেলন শেষ হবে ৬ মার্চ (বুধবার)।

গতকাল শনিবার সচিবালয়ে ‘জেলা প্রশাসক সম্মেলন-২০২৪’ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন জানিয়েছিলেন, ডিসি সম্মেলনকে সামনে রেখে এবার ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনারদের কাছ থেকে ৩৫৬টি প্রস্তাব এসেছে।

সরকারের নীতি-নির্ধারক ও জেলা প্রশাসকদের মধ্যে সামনা-সামনি মতবিনিময় এবং প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দেওয়ার জন্য প্রতিবছর ডিসি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জানানো হয়, এবার সম্মেলনে মোট ৩০টি অধিবেশন হবে। এর মধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে কার্য অধিবেশন ২৫টি। এছাড়া একটি উদ্বোধন অনুষ্ঠান, স্পিকারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ নিয়ে একটি ও প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ, নির্দেশনা গ্রহণ এবং অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা নিয়ে দুটি অধিবেশন হবে। কার্য অধিবেশনগুলোতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগের মন্ত্রী, উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রী, সিনিয়র সচিব, সচিবরা উপস্থিত থাকবেন।

এবার সম্মেলনে মোট ৫৬টি মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থা এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অংশ নেবে। অন্য বছর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে একটি সেশন থাকলেও এবার রাষ্ট্রপতি বিদেশে থাকায় সেটি হচ্ছে না।

প্রথম দিনে উদ্বোধন অধিবেশন ছাড়াও ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনারদের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুক্ত আলোচনা হবে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে তিনটি কার্য-অধিবেশন হবে প্রথম দিন।

এবার জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদের কাছ থেকে ৩৫৬টি প্রস্তাব পাওয়া গেছে জানিয়ে শনিবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেছিলেন, প্রাপ্ত প্রস্তাবগুলোতে জনসেবা বৃদ্ধি, জনদুর্ভোগ হ্রাস করা, রাস্তাঘাট ও ব্রিজ নির্মাণ, পর্যটনের বিকাশ, আইন-কানুন বা বিধিমালা সংশোধন, জনস্বার্থ সংরক্ষণের বিষয়গুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করা হয়েছে। বেশি সংখ্যক প্রস্তাব সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সংক্রান্ত। এ সংক্রান্ত মোট প্রস্তাব ২২টি।

এ বছরের ডিসি সম্মেলন অন্যান্য যে কোনো বছরের তুলনায় গুরুত্বপূর্ণ। নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী সব কর্মকাণ্ড কেন্দ্রীভূত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেটি মন্ত্রিসভা বৈঠক ও সচিব সভায়ও দেওয়া হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে মাঠ পর্যায়ে যারা কাজ করেন তারা কীভাবে নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন করবেন সেই বিষয়ে প্রথম সম্মেলনে নির্দেশনা নেবেন বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জানানো হয়।

এবার সম্মেলনে আলোচ্য বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে- ভূমি ব্যবস্থাপনা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম জোরদার করা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম, স্থানীয় পর্যায়ে কর্মসৃজন ও দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচি বাস্তবায়ন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি বাস্তবায়ন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার এবং ই-গভর্নেন্স, শিক্ষার মান উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ, স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবার কল্যাণ, পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ রোধ, ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়ন এবং উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও সমন্বয়।

গত বছর ডিসি সম্মেলনে নেওয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার ৬২ শতাংশ। এর মধ্যে স্বল্পমেয়াদি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার ৮৯ শতাংশ, মধ্যমেয়াদি ৫৯ শতাংশ ও দীর্ঘমেয়াদি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার ৪৫ শতাংশ। গত বছর নেওয়া ২১২টি সিদ্ধান্তের মধ্যে ১৩০টি বাস্তবায়ন হয়েছে বলেও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে।

এবার সম্মেলনে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিবরা উপস্থিত থেকে জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন বলেও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে।

এসইউজে/কেএসআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।