চট্টগ্রাম কারাগারে বন্দির মৃত্যু, সত্যতা নিরূপণের দায়িত্বে পিবিআই

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:১৪ পিএম, ০৩ মার্চ ২০২৪
ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি মৃত্যুর ঘটনায় দায়েরকৃত অভিযোগের সত্যতা নিরূপণের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) দায়িত্ব দিয়েছেন আদালত। সংস্থাটিকে জরুরি ভিত্তিতে প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলেরও নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত।

রোববার (৩ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম সিনিয়র স্পেশাল জজ বেগম জেবুনেনেছা এ আদেশ দেন। মহানগর দায়রা জজ আদালতের কর্মকর্তা দীপেন দাশগুপ্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘আদালত সরাসরি মামলা গ্রহণের নির্দেশনা দেননি। তবে পিবিআইকে পুলিশ সুপার পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তার মাধ্যমে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা তদন্তপূর্বক নিরূপণের আদেশ দিয়েছেন। ২৭ মার্চ প্রিলিমিনারি এনকোয়ারি রিপোর্ট জরুরি ভিত্তিতে দাখিলের জন্য পিবিআইকে আদেশ দিয়েছেন। এ প্রতিবেদন পাওয়া সাপেক্ষে আদালত পরবর্তী আদেশ দেবেন।’

দীপেন দাশগুপ্ত জানান, আদালত অভিযোগকারীকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য ওই সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছেন।

গত ২০ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মুহাম্মদ মঞ্জুর হোসেন, বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ মোট ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়।

মামলার আবেদনে বলা হয়, গত ২৭ জানুয়ারি বিকেল ৩টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে রুবেলকে গ্রেফতার করা হয়। রাত ৮টায় তার বিরুদ্ধে মদ উদ্ধারের ভুয়া মামলা সাজানো হয়। রাত ৯টার দিকে পুলিশ আবেদনকারীর (স্ত্রী পূরবী পালিত) মোবাইলে কল দিয়ে রুবেলকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য দুই লাখ টাকা ঘুস দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ২০০ লিটার চোরাই মদ উদ্ধার দেখিয়ে ভুয়া মামলা করা হয়।

আবেদনে আরও বলা হয়, পরদিন আদালত রুবেলকে হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। এ সময় গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় প্রিজন ভ্যানে করে তাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। ২ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রুবেলের পরিবারের সদস্যরা তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য কারাগারে যান। কারারক্ষীরা মুমূর্ষু অবস্থায় রুবেলকে হুইল চেয়ারে করে নিয়ে আসেন। তখন রুবেলের কপালে, ডান চোখের ভ্রুয়ের ওপর রক্তাক্ত কাটা জখম এবং মুখমণ্ডলে নীল ফোলা জখম দেখা যায়। ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টায় রুবেলের পরিবার খবর পান, তিনি কারাগারে মারা গেছেন।

অন্যান্য আসামিরা হলেন- বোয়ালখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম, উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু মুসা, সাইফুল ইসলাম ও রিযাউল জব্বার, কনস্টেবল কামাল ও আসাদুল্লাহ, থানায় সে সময় দায়িত্বরত ডিউটি অফিসার এবং কারাগারের জেলার এমরান হোসেন মিয়া, ডেপুটি জেলার নওশাদ মিয়া, আখেরুল ইসলাম, সুমাইয়া খাতুন, মো. ইব্রাহিম ও কারা ওয়ার্ড মাস্টার।

এএজেড/ইএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।