বেইলি রোডে আগুন

‘দুদিন পর সব ভুলে যাবে, অতীতেও তাই ঘটেছে’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:৩৪ পিএম, ০৪ মার্চ ২০২৪

রাজধানীর বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের জন্য সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের অবহেলা এবং ভবনমালিক ও ব্যবসায়ীদের লোভকে দায়ী করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ। ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া সোমবার (৪ মার্চ) এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন।

তারা বলেন, দেশের সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করলে মনে হয়, মানুষ মরলো না কি বাঁচলো, তা নিয়ে কারও কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। রাজধানীর বেইলি রোডের ভবনটিতে যে ধরনের অগ্নিদুর্ঘটনা ঘটেছে, তা আসলে গাফিলতিজনিত হত্যাকাণ্ড। অগ্নিকাণ্ডে মানুষের মৃত্যুর অন্যতম কারণ ভবনমালিক ও ব্যবসায়ীদের অতি মুনাফার লোভ। একই সঙ্গে সরকারি বিভিন্ন সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের গাফিলতি, উদাসীনতা, দায়িত্বহীন এবং অন্যায় আচরণও এ ধরনের ‘হত্যাকাণ্ডের’ জন্য দায়ী।

নেতৃদ্বয় আরও বলেন, সবকিছুর মূল্যবৃদ্ধি পেলেও মানুষের জীবনের মূল্যবৃদ্ধি পায়নি। ভয়াবহ আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ মৃত্যুর দায় কার- জনমনে এখন এটা প্রশ্ন। ভবন মালিক, রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী, ফায়ার সার্ভিস, রাজউক, না কি আমাদের পুরো ব্যবস্থা? কমবেশি সবার অবহেলার নিষ্ঠুর খেসারত দিতে হয় এ ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ফলে। কোনোভাবে এত মৃত্যু, এত আগুন মেনে নেওয়া যায় না।

তারা বলেন, এর আগে ২০১০ সালে পুরাতন ঢাকার নিমতলীতে একটি রাসায়নিক গুদামে আগুনে ১২৪ জনের মৃত্যু হয়। ২০১৯ সালে চকবাজারে একই ধরনের দুর্ঘটনায় ৭১ জন মৃত্যুবরণ করে। একই বছর বনানীর এফআর টাওয়ারে আগুন লেগে ২৭ জন মানুষ প্রাণ হারান। হাসেম ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ এবং তাজরিন গার্মেন্টসহ এর আগে যেসব অগ্নিদুর্ঘটনা ঘটেছে তা থেকে বেইলি রোডের দুর্ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন ভাবার উপায় নেই।

নেতৃদ্বয় বলেন, পরিবার ও স্বজনদের সঙ্গে আনন্দের মুহূর্ত কাটানোর জন্য কিছু মানুষ বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজকে বেছে নিয়েছিলেন। নামে কটেজ হলে কী হবে, বাস্তবে বহুতল। শুধু বানিয়ে তারা ক্ষান্ত হননি, নিয়মনীতির তোয়াক্কা করেননি। তাদের সেই লালসার বলি এখন পর্যন্ত ৪৬ মানুষ।

তারা বলেন, বেইলি রোডের ঘটনার রেশ ধরে সংশ্লিষ্ট সব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। কিন্তু এ দাবি কি আসলেই পূরণ হবে? দুদিন পর সবাই সব ভুলে যাবে। তদন্ত কমিটি লোক দেখানো একটা রিপোর্ট দেবে। ভবনমালিক কমবেশি দায়ী হবে। রাজউক, পরিবেশ অধিদফতর, সিটি করপোরেশন আড়াল হবে। রেস্টুরেন্টের অনুমতি প্রদানকারীদের ব্যর্থতা, অনিয়মে জড়িত থাকার রিপোর্টও হারিয়ে যাবে। অতীতেও তাই ঘটেছে। ভবিষ্যতেও এমনটি হবে না এ বিষয়ে কেউ আসস্ত হতে পারে না।

কেএইচ/জেডএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।