সিন্ডিকেট কি সরকারের চেয়ে শক্তিশালী, প্রশ্ন বিরোধীদলীয় উপনেতার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:১০ পিএম, ০৪ মার্চ ২০২৪

সরকারের চেয়ে সিন্ডিকেট শক্তিশালী কি না সেই প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীদলীয় উপনেতা ও জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। সোমবার (৪ মার্চ) জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ প্রশ্ন তোলেন। এসময় সংসদ অধিবেশনে ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু সভাপতিত্ব করেন।

আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, জিনিসপত্রের দাম কমানোর জন্য শুল্ক কমানো হয়েছে। কিন্তু জিনিসের দাম কমেনি। কেন দাম বাড়ছে? কেন আমরা সিন্ডিকেটকে কন্ট্রোল করতে পারছি না। সিন্ডিকেট কি সরকারের চেয়ে শক্তিশালী?

মূল্যস্ফীতির প্রসঙ্গ তুলে সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা বলেন, আজ মূল্যস্ফীতি এমন হয়েছে যে, সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস। মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৮ শতাংশ। দুর্বল ব্যাংক খাত, ডলারের অস্থিতিশীল বিনিময় হার, রিজার্ভ হ্রাস মিলে সার্বিক অর্থনীতি অস্থিতিশীল। এগুলো নিয়ে আলোচনা করতে হবে। কোনো সমস্যা হলে বলা হয় কোভিড, ইউক্রেন যুদ্ধ। এটা বলে লাভ নেই। নিজেদের কাঠামোগত সমস্যা বের করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রসহ প্রত্যেক দেশের মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। বাংলাদেশ কেন পারছে না। এগুলো নিয়ে সংসদে কথা বলতে হবে।

তিনি বলেন, এই সরকার শক্তিশালী। সংসদে ১৩ জন ছাড়া সবাই সরকারি দলের। কেন সরকার চাঁদাবাজি বন্ধ করতে পারবে না। আশা করা হয়েছিল রমজানের আগে দ্রব্যমূল্য নিম্নমুখী হবে। কিন্তু তা হচ্ছে না। প্রতি বছর অর্থপাচার হয়। কেন, কারা, কীভাবে পাচার করছে এগুলো নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করতে হবে। বিষয় যতই খারাপ হোক না কেন সংসদেই আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নিতে হবে। উন্নয়ন টেকসই করতে হলে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বিচার বিভাগের ওপর আস্থা বাড়াতে হবে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা যেন ক্ষুণ্ন না হয় তা দেখতে হবে।

সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, কিছুদিন আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিনিধি দল এখানে এসেছে। তারা এপারেন্টিলি ফর ডেমোক্রেসি, ফর ইলেকশন। আমি মনে করি না সেটা সত্য। তারা এসেছেন তাদের ভূরাজনীতির কারণে। তারা চায় বাংলাদেশকে কোনো একটি প্ল্যাটফর্মে অন্তর্ভুক্ত করতে। আমার একটাই অনুরোধ সরকারের কাছে কোনোক্রমেই আমরা যেন মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে জড়িত না হই। এটার সঙ্গে আমার দেশের অখণ্ডতা জড়িত আছে।

নির্বাচন কমিশনকে আরও শক্তিশালী করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের নিজস্ব লোকবল থাকতে হবে। ডিসিদের রিটার্নিং করা হয়। এটা কোনোমতেই গ্রহণযোগ্য নয়। তারা সরকারের অংশ। তারা ফিট নন, এটাই বাস্তবতা।

তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল কারণ তারা সংবিধানে বিশ্বাস করে। তারা জানত, নির্বাচনে ভালো ফল করতে পারবে না। তারপরও তারা গিয়েছিলেন যাতে সাংবিধানিক প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকে।

আইএইচআর/জেডএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।