পলিথিন ব্যবহার বন্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে: পাটমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:২৭ পিএম, ০৫ মার্চ ২০২৪

পলিথিনের ব্যবহার বন্ধে রোডম্যাপ অনুসারে অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, পলিথিন বন্ধ করে পাটজাতপণ্য ব্যবহার বৃদ্ধি করতে আমরা পাটের ব্যাগ ব্যবহার করা এবং সোনালী ব্যাগ নামে একটা পাটজাত ব্যাগ তৈরি করেছি। আমরা গতকালকে ডিসি সম্মেলনে ডিসিদেরও বলেছি। পবিত্র মাহে রমজানের কারণে আমরা এই মুহূর্তে বাজারে কোনো ধরনের খোঁচা দিতে চাইনি। আমরা বাজারকে অস্থিতিশীল করতে দিতে চাই না। সে কারণে আমরা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ডিসি সাহেবদের প্রস্তুত থাকার কথা বলেছি। রমজানে যেসব মিলাররা বস্তা ব্যবহার করে তাদের এনে সভা এবং কাউন্সিলিং করার কথা বলা হয়েছে। রোজার পরে এ বিষয়ে আমরা ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করবো বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

নানক বলেন, আমরা আরেকটি কথা বলে রাখতে চাই। এরই মধ্যে পরিবেশমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সকল মন্ত্রী মিলে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি মানবজীবন হরণকারী এই পলিথিন বন্ধে একটি যৌথ সভা করা হবে। সেই যৌথ সভায় আমরা একটি রোডম্যাপ করব। সেই রোডম্যাপ অনুসারে আমরা পলিথিনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করব।

মন্ত্রী বলেন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০’ এর আওতায় ১৯টি পণ্যে পাটের মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। এ আইনটি প্রয়োগের ফলে আন্তর্জাতিক বাজারের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ বাজারে প্রতি বছর পাট পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

তিনি বলেন, পাটবীজের আমদানিনির্ভরতা হ্রাস করে পাটবীজ উৎপাদন পাটচাষিদের আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তোলা, পাটচাষের আধুনিক কলাকৌশল সম্পর্কে পাটচাষিদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার নিমিত্ত পাট অধিদপ্তরের অধীন উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর পাট ও পাটবীজ উৎপাদন এবং সম্প্রসারণ শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

এ প্রকল্পটি দেশের ৪৫টি জেলার ২২৮টি উপজেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে। আশা করি, বাংলাদেশ উন্নত পাটবীজ উৎপাদনে স্বনির্ভর হবে। প্রয়োজনীয় পাটবীজ সংগ্রহে আমদানি নির্ভরতা আর থাকবে না।

পাট মৌসুমে হাট-বাজারে নজরদারি জোরদার এবং নিয়মবহির্ভূত মজুদ রোধে নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এতে করে মিল মালিকরা নিরবচ্ছিন্নভাবে পাট সংগ্রহ করতে পারছে, যা রফতানি আয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হচ্ছে, চাষীরাও পাটের সঠিক মূল্য পাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেডিপিসি) এর মাধ্যমে পাটপণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধির পাশাপাশি সরকার বহুমুখী পাটজাত পণ্যের উদ্ভাবন ও ব্যবহার সম্প্রসারণে গুরুত্বারোপ করেছে। জেডিপিসির নিবন্ধিত উদ্যোক্তারা ২৮২ রকম দৃষ্টিনন্দন পাটপণ্য উৎপাদন করছেন যার অধিকাংশই বিদেশে রফতানি করা হচ্ছে। বহুমুখী পাটজাত পণ্যকে জনপ্রিয় করতে প্রচার প্রচারণাসহ বিদেশে বিভিন্ন মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। এসব মেলা পাটজাত পণ্য উৎপাদনকারী, বিপণনকারী, ব্যবহারকারী এবং বিদেশি ক্রেতাদের মধ্যে অধিক যোগাযোগ স্থাপনে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।

এছাড়া ইজারার জন্য নির্ধারিত বিজেএমসির নিয়ন্ত্রণাধীন ২০টি মিল থেকে এরই মধ্যে ১৪টি মিলের চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। ২টি মিলের চুক্তি সম্পাদনের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন এবং অবশিষ্ট ৪টি মিলের ইজারা কার্যক্রম চলমান।

আইএইচআর/এমআরএম/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।