‘কাচ্চি ভাই’ রেস্তোরাঁ বন্ধ করে পালালেন কর্মীরা
![‘কাচ্চি ভাই’ রেস্তোরাঁ বন্ধ করে পালালেন কর্মীরা](https://cdn.jagonews24.com/media/imgAllNew/BG/2023March/restaurant-20240305153536.jpg)
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টা। খিলগাঁওয়ের শহীদ বাকি সড়ক। আবাসিক ভবনে রেস্তোরাঁ ও অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থার ঘাটতি খুঁজতে কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁয় অভিযান চালাতে যান ভ্রাম্যমাণ আদালত। কিন্তু অভিযানের আগাম খবর পেয়ে ফটকে তালা দিয়ে আগেই পালিয়ে যান রেস্তোরাঁটির কর্মীরা। পরে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা না নিয়েই চলে যান ভ্রাম্যমাণ আদালত।
খিলগাঁও এলাকায় এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহাঙ্গীর আলম। অভিযানের খবর ছড়িয়ে পড়লে ওই এলাকার অন্য রেস্তোরাঁগুলোও তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। যেগুলো খোলা ছিল সেগুলোতে গিয়ে মালিকপক্ষের কাউকে পায়নি ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আরও পড়ুন
- খিলগাঁওয়ে আবাসিক ভবনে রেস্তোরাঁ, সাততলা ভবন সিলগালা
- ধানমন্ডির গাউসিয়া টুইন পিক ভবনের ১২ রেস্তোরাঁ সিলগালা
- বেইলি রোডের আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যু
- এস আলমের কারখানায় আগুনে পুড়লো এক লাখ টন চিনি
সরেজমিনে দেখা যায়, খিলগাঁওয়ের কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁর ফটকে তালা লাগানো। ফটকে একটি ছোট ব্যানার টানানো। সেখানে লেখা ‘রেস্টুরেন্টের উন্নয়ন কাজের জন্য প্রতিষ্ঠানটি সাময়িক বন্ধ; আদেশক্রমে কর্তৃপক্ষ।’
তবে এর আগে শহীদ বাকি সড়কের একটি সাততলা আবাসিক ভবনে পাঁচটি রেস্তোরাঁ গড়ে উঠায় ভবনটি সিলগালা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ভবনটিতে সরু সিঁড়িসহ অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার ঘাটতি ছিল।
গত বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর বেইল রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে লাগা আগুনে এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন আরও অন্তত ২০ জন। যাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এমএমএ/এমকেআর/এমএস