নসরুল হামিদ

বিশ্ববাজারের সঙ্গে তেলের দাম সমন্বয়ের গেজেট এই সপ্তাহে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:২৪ পিএম, ০৫ মার্চ ২০২৪
ডিসি সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ

বিশ্ববাজারের সঙ্গে জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করে চলতি সপ্তাহে গেজেট জারি হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। এতে তিনি জ্বালানি তেলের দাম আরও সাশ্রয়ী করার কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘তেলের দাম নির্ধারণ হবে বিশ্ববাজারের সঙ্গে (সমন্বয় করে)। সেখানে একটা ফর্মুলা করা হয়েছে এরই মধ্যে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি পেয়েছি। এ সপ্তাহেই আমরা গেজেট আকারে প্রকাশ করবো।’

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি সম্মেলনে) সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘জেলা প্রশাসকদের আমরা বলেছি যে, সামনে যে সময়টা আসছে বিশেষ করে মার্চ মাসসহ আমাদেরকে বিদ্যুৎ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে হবে। আমরা চাচ্ছি জ্বালানিও যেন নিরবচ্ছিন্ন থাকে। এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে, পরিবেশ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সোলারের (সৌরবিদ্যুৎ) পরিধি আমরা কীভাবে বাড়াতে পারি সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। আরেকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে, সেটি হল জ্বালানির দাম আমরা কীভাবে সাশ্রয়ী রাখতে পারি।’

তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি এরই মধ্যে জ্বালানির ক্ষেত্রে আমরা ডায়নামিক প্রাইসিংয়ের দিকে চলে গেছি। আমরা যদি তেলের কথা বলি, এ সপ্তাহে ডাইনামিক প্রাইসিংয়ের দিকে যাবে। আশা করছি জ্বালানির একটা সাশ্রয়ী মূল্যের সমন্বয়ে আমরা যেতে পারবো।’

জেলা প্রশাসকদের প্রস্তাবনার বিষয়ে নসরুল হামিদ বলেন, ‘ডিসিদের প্রস্তাবনায় বিভিন্ন বিষয় ছিল। যেমন, অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে আমরা কীভাবে ব্যবস্থা নিতে পারি? আরও কঠোর হতে পারি কি না? আমরা বলেছি যে পরিকল্পিত শিল্প এলাকা ছাড়া আমরা কোথাও গ্যাস এবং বিদ্যুতের সংযোগ দেবো না। আমরা অনুরোধ করেছি বিষয়টি দেখার জন্য। কৃষিজমি ভরাট করে শিল্প কারখানা গড়ে তোলা হচ্ছে, এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তেল চুরির বিষয়েও ডিসিরা সহযোগিতা চেয়েছেন। বিষয়গুলো লিখিত আকারে আমাদের কাছে এসেছে, আমরা সেগুলো দেখছি।’

বাংলাদেশে দাম কমলে সীমান্ত দিয়ে পাশের দেশে তেল পাচার হতে পারে। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এটা নজরদারির মধ্যে রেখেছি। আপনারা জানেন বাংলাদেশে ডিজেলের দাম প্রতি লিটার ১০৯ টাকা, কলকাতায় তেলের দাম আমাদের টাকায় প্রায় ১৩৩ টাকা। সুতরাং, এই বিষয়টি আমরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে জানিয়েছি। এখানে যদি আরেকটু সাশ্রয়ী হয় (তেলের দাম কমে), তাহলে তেল পাচারের সম্ভাবনা থাকে। বিষয়টি নজরদারির মধ্যে থাকবে।’

এনএস/কেএসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।