আদি রূপে ফিরেছে বুড়িগঙ্গা: তাজুল ইসলাম

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৪৬ পিএম, ০৫ মার্চ ২০২৪

বুড়িগঙ্গা আগের অবস্থায় ফিরে এসেছে মন্তব্য করে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ঢাকা শহরের বিভিন্ন খাল ও নালা দখল করে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা আবাসিক ভবন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদের বিরুদ্ধে জোড়ালো পদক্ষেপ নেওয়ার কার্যক্রম চলমান। ২০১৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর কামরাঙ্গীরচর এলাকায় নির্বাচনী জনসভায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম শেষ হয়েছে এবং আদি বুড়িগঙ্গা আগের অবস্থায় ফিরে এসেছে।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) জাতীয় সংসদে সংসদ সদস্য মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদীর এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। অধিবেশনে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।

মন্ত্রী বলেন, শহরের বৃষ্টির পানির সুষ্ঠু প্রবাহের জন্য খাল, নালা, জলাশয় (জিরানী খাল, মান্ডা খাল, সেগুনবাগিচা-আরামবাগ খাল, গোড়ান-বাসাবো খাল, শ্যামপুর খাল ও কালুনগর খাল) এবং বক্স কালভার্টগুলোতে (সেগুনবাগিচা, পান্থপথ ও পরিবাগ) দীর্ঘদিনের জমে থাকা ময়লা, আবর্জনা পরিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি পানি প্রবাহ নির্বিঘ্ন করার জন্য অবৈধ দখল উচ্ছেদ করা হয়েছে ও উচ্ছেদ কার্যক্রম চলমান।

তিনি আরও জানান, খাল পুনরুদ্ধার, সংস্কার ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি প্রকল্পের আওতায় প্রায় ২০ কিলোমিটার, দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট চারটি খাল (মান্ডা, জিরানী, কালুনগর ও শ্যামপুর) উন্নয়ন ও নদীর সঙ্গে পুনঃসংযোগ, স্বাভাবিক প্রবাহ নিশ্চিত এবং নাব্য বাড়ানোর লক্ষ্যে ৮৯৮,৭৩৩ কোটি টাকা প্রচলিত ব্যয় সম্বলিত খাল উন্নয়ন প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে খালগুলোতে নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি করা হবে।

এমপি মোরশেদ আলমের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ঘনবসতিপূর্ণ রাজধানী ঢাকায় পানির জলাধারগুলো ক্রমেই বিলীন হওয়ার পথে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনা মোতাবেক ঢাকায় জলাধারগুলো উন্মুক্ত করে পানিপ্রবাহ নিশ্চিত করার কার্যক্রম চলমান। অগ্নিকাণ্ড বা দুর্ঘটনা ঘটলে ঢাকা ওয়াসা তাৎক্ষণিক অগ্নিনির্বাপণে ফায়ার সার্ভিসকে সার্বিক সহযোগিতা করে।

রাজধানীতে পানির উৎস বাড়ানোর লক্ষ্যে খালগুলো সংস্কার ও অবৈধ দখলমুক্ত করার কার্যকম চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।

আইএইচআর/এমএএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।