মহেশখালীর সমন্বিত উন্নয়নে গঠন হচ্ছে কর্তৃপক্ষ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৫৩ পিএম, ১৭ এপ্রিল ২০২৪
ফাইল ছবি

কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়িতে সমন্বিত উন্নয়ন কার্যক্রমের জন্য গঠন হচ্ছে কর্তৃপক্ষ। এজন্য ‘মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন, ২০২৪’ এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘মহেশখালীর মাতারবাড়ি সমন্বিত উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। ২০১৪ সালে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরকালে উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রী যৌথ ঘোষণা দিয়েছিলেন, তার আওতায় জাপান সরকার মাতাবাড়িতে উন্নয়ন কার্যক্রম নেওয়ার জন্য উদ্বোধন করে গেছেন। সেটিকে ভিত্তি করে মাতারবাড়িকে কেন্দ্র করে যাতে অর্থনৈতিক জোন তৈরি করা যায় যেখানে ডিপ-সি ফ্যাসিলিটি থেকে শুরু করে উন্নয়নের বেসিক কিছু অবকাঠামো নির্মাণ করে সামগ্রিক কিছু এরিয়াকে চিহ্নিত করে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করা যায় সেই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।’

‘বেশকিছু কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। এই পুরো কাজগুলো এখন আলাদা আলাদা মন্ত্রণালয় থেকে করছে। সমন্বিতভাবে এসব কাজ করতে প্রধানমন্ত্রীর আওতাধীন মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

আরও পড়ুন

খসড়া আইন অনুযায়ী এই কর্তৃপক্ষের গভর্নিং বোর্ডের প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী থাকবেন জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘বোর্ডে অর্থমন্ত্রীসহ কয়েকজন মন্ত্রীকে নিয়ে ১৭ সদস্য থাকবেন। মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার হিসেবে থাকবেন।’

‘অথরিটির মূল কাজ হবে নির্ধারিত এলাকায় ভূমি ব্যবহারের মাস্টারপ্ল্যান করে তা বাস্তবায়ন করা। যাদের ভূমি দেওয়া হবে তারা যেন যথাযথভাবে কাজ করে। মূল লক্ষ্য হবে বিদেশি বিনিয়োগ করা। এক্সপোর্ট ও ইমপোর্টের নিট টাইম যেন কম হয়।’

ওই এলাকায় উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের জন্য ৫৫ হাজার ৯৬৮ একর জমি থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যে এলাকায় মাস্টারপ্ল্যান হবে, সেখানে যেন পরিবেশ সংরক্ষণ থাকে। লবণ চাষ, পান ও চিনির চাষও যেন সুরক্ষিত থাকে তা নিশ্চিত করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ যাতে ঘটে তাতে প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা দিতে এটা (আইন) করা হচ্ছে। কিছু পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সেগুলো নিষ্পত্তি করে পুনরায় আইনটি মন্ত্রিসভায় তোলা হবে।’

কক্সবাজারে কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয় হবে। ঢাকায় লিঁয়াজো অফিস করা যাবে বলেও জানিয়েছেন মাহবুব হোসেন।

আরএমএম/জেডএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।