‘মাদক গডফাদারদের’ ১৭৮ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ করলো সিআইডি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:২৬ পিএম, ১৭ এপ্রিল ২০২৪

‘মাদক গডফাদারদের’ অবৈধভাবে অর্জিত ১৭৮ কোটি ৪৪ লাখ টাকার সম্পদ জব্দ করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। বুধবার (১৭ এপ্রিল) সিআইডি সদরদপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, এখন পর্যন্ত ৩৫টি মাদক সংক্রান্ত মানিলন্ডারিং মামলার তদন্ত করেছে সিআইডি। এরমধ্যে ১০টি মামলার প্রকৃত গডফাদারদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। এমনকি তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, মাদকের অর্থে কেনা বাড়ি-গাড়ি, জমি ক্রোক করা হয়েছে।

এখন পর্যন্ত মাদক মামলায় ১২২ জন আসামিকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি, এরমধ্যে এজাহারনামীয় ৬৭ জন। এসব মামলার গডফাদারদের গ্রেফতার করা হয়েছে। কিছু মামলার চার্জশিট দেওয়া হয়েছে বলে জানান সিআইডি প্রধান।

আরও পড়ুন: মাদক কারবার-মানি লন্ডারিংয়ে বদির দুই ভাইয়ের সংশ্লিষ্টতা মিলেছে

তিনি বলেন, ১০ মামলার মধ্যে তিনটি মামলায় গডফাদারদের ৯ দশমিক ১৪ একর জমি ও দুটি বাড়ি যার মূল্য আট কোটি ১১ লাখ টাকা। মাদক সংক্রান্ত মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত বিভিন্ন মামলায় ব্যাংকে গচ্ছিত এক কোটি ২৩ লাখ ২৩ হাজার ৪২৫ টাকা ফ্রিজ করা হয়েছে। আরও ৩৫ দশমিক ১৭৩ একর জমি, ১২টি বাড়ি ও একটি গাড়ি যার মূল্য ৩৬ কোটি ৮২ লাখ টাকা ক্রোকের প্রক্রিয়া চলমান।

সিআইডি প্রধান বলেন, মাদক মামলার তদন্তে সাধারণত সেবনকারী বা বাহক পর্যন্ত তদন্ত করেই চার্জশিট দেওয়া হয়। এর পেছনে ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায় গডফাদাররা। কিন্তু তাদের আরও আগে আইনের আওতায় আনতে পারলে মাদকের ব্যাপকতা হতো না। সিআইডি প্রথম গডফাদারদের গ্রেফতার ও তাদের সম্পদ ক্রোকের কাজে হাত দিয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সম্পদ ক্রোকের বিষয়ে আমরা আদালতে উপস্থাপন করি। আদালত সন্তুষ্ট হয়ে ক্রোকের নির্দেশ দেন। পরে ক্রোক করে আদালতেই জমা দেওয়া হয়।

গডফাদারদের পরিচয়ের বিষয়ে সিআইডি প্রধান বলেন, তারা এতদিন ধরা-ছোঁয়ার বাইরে ছিল। তারা প্রকৃতপক্ষে পেশাগতভাবে মাদক কারবারি। তাদের আর কোনো পরিচয় নেই।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মাদক সংশ্লিষ্টতায় সাধারণত প্রথমে বাহক বা সেবনকারীকে ধরা হয়। তারপর তদন্তকারী কর্মকর্তা এর পেছনে কারা আছেন সে পর্যন্ত যেতেন না। সিআইডি ভিন্ন আঙ্গিকে পেছনের ব্যক্তিদের খোঁজ নেওয়া শুরু করে। তারা কোথায় যোগাযোগ করছে, তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তল্লাশি করা হচ্ছে। সন্দেহজনক লেনদেন পেলে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা মাদক কারবারির কথা স্বীকার করছেন।

টিটি/জেডএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।