‘আগুনের খবর শুনে দৌড়ে পালাই, এখন খোলা জায়গায় আছি’
নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত দুই বছর বয়সী সন্তানকে নিয়ে স্ত্রীসহ শিশু হাসপাতালে এসেছেন শফিউল্লাহ। হাসপাতালের ভবনে যখন আগুন লাগে তখন তিনি জুমার নামাজ পড়ে বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এসময় আগুনের খবর শুনেই দ্রুত স্ত্রী-সন্তানের কাছে যান। পরে তাদের নিয়ে বাইরে চলে আসেন।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে আগুন লাগার খবর ছড়িয়ে পড়ে। এতে শঙ্কাগ্রস্ত হয়ে পড়েন হাসপাতালে থাকা রোগীদের স্বজনরা। জাগো নিউজের এ প্রতিবেদককে এমন তথ্য জানান শফিউল্লাহ।
তিনি বলেন, আগুন লাগার খবর শুনে অন্য কিছু চিন্তা করিনি। দ্রুত ছেলে আর স্ত্রীকে নিয়ে ভবন থেকে বের হয়ে পড়ি। এখন খোলা জায়গায় আছি। সবকিছু ঠিকঠাক হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যখন বলবে তখন ওয়ার্ডে চলে যাবো।
নিজের কন্যা সন্তানকে ভর্তি করিয়ে আগুন লাগা ভবনের নিচতলায় ছিলেন বুলবুল ও তার স্ত্রী। জাগো নিউজকে বুলবুল বলেন, নিচতলায় আগুন ছড়ায়নি। ধোঁয়া দেখতে পেয়ে আমরা বের হয়ে আসি। আমাদের ওয়ার্ডে যারা ছিলো সবাই বের হয়ে আসছে। অন্যদের তেমন একটা সমস্যা হয়নি, কিন্তু ওয়ার্ডে দুটো বাচ্চার অক্সিজেন লাগানো ছিলো। তাদের কী অবস্থা জানি না।
আরও পড়ুন
এর আগে দুপুর ১টা ৪৭ মিনিটে শিশু হাসপাতালে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। খবর পেয়ে দ্রুত প্রথমে দুই ইউনিট ও পরে আরও তিন ইউনিট হাসপাতালে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। এরপর দুপুর ২টা ২৮ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণ ও ২টা ৩৯ মিনিটে আগুন সম্পূর্ণ নির্বাপণ হয়। তবে প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও হতাহতের খবর জানা যায়নি।
এনএস/কেএসআর/এএসএম