কখনো পুলিশ, কখনো ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে প্রতারণা করতেন তারা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ০৩:০০ এএম, ২০ এপ্রিল ২০২৪

গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে ৩শ গ্রাম সোনা, দামি মোবাইল ও ল্যাপটপ ডাকাতির ঘটনার মূলহোতা মোহাম্মদ হোসেন (৩৩) এবং তার সহযোগী ওমর ফারুক সালমানকে (২০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দুইদিন আগে নগরীর কর্ণফুলী থানাধীন শাহ আমানত সেতুর টোলপ্লাজা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এস এম ওবায়দুল হক।

ওসি বলেন, ‌গ্রেফতাররা কখনো হাতে ওয়াকিটকি নিয়ে গোয়েন্দা পুলিশ সেজে বিদেশ থেকে আসা লোকজনের মূল্যবান মালামাল লুটে নেন। আবার কখনো ম্যাজিস্ট্রেট সেজে নানান ফ্যাক্টরিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার নামেও হাতিয়ে নেন টাকা। আবার পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে সাংবাদিকের বেশ নেন আসামিরা।

পুলিশ জানিয়েছে, গত ২৫ মার্চ দুপুরে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে আসা ৩শ গ্রাম স্বর্ণালংকার, চারটি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দামি মোবাইল ফোন, তিনটি ডেল ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ এবং ৬ কার্টুন সিগারেট নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় ভিকটিম নুর উদ্দিন আশরাফিসহ আরও এক ব্যক্তিকে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে পুরো মালামাল হাতিয়ে নেন তারা। এ ঘটনায় ২৮ মার্চ কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন ভিকটিম নুর উদ্দিন আশরাফি।

ওসি বলেন, মামলার পর থেকে এ পর্যন্ত ঘটনায় জড়িত ১০ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। সর্বশেষ বুধবার ঘটনার মূলহোতা মো. হোসেন ও তার এক সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি মোটরসাইকেল এবং বাদী লুণ্ঠিত একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন নামসর্বস্ব অসংখ্যা অনলাইন নিউজ পোর্টালের ভিজিটিং কার্ড পাওয়া যায়।

‌ধৃত আসামিরা জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানিয়েছে, তারা বিভিন্ন সময় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে এয়ারপোর্ট দিয়ে আসা যাত্রীদের কাছ হতে স্বর্ণালংকারসহ বিভিন্ন মালামাল হাতিয়ে নিতেন। যাতে যাত্রীরা ডিবি পুলিশ মনে করে সেজন্য তাদের কাছে ওয়াকিটকি থাকতো।

এমডিআইএইচ/জেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।