চট্টগ্রামে বেসরকারি চিকিৎসাসেবা বন্ধ, চরম ভোগান্তি রোগী-স্বজনদের

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:২৮ পিএম, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

চট্টগ্রামে দুই চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদ এবং জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে আজ মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) প্রাইভেট প্র্যাকটিসসহ সব ধরনের বেসরকারি চিকিৎসা সেবা বন্ধ রেখেছেন চিকিৎসকরা।

এতে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে নতুন রোগী ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না। পাশাপাশি ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে বন্ধ রাখা হয়েছে সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে রোগী ও তাদের স্বজনদের।

গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে অনুষ্ঠিত এক প্রতিবাদ সভা থেকে এ কর্মসূচি আহ্বান করা হয়। এর আগে ২০ এপ্রিল চট্টগ্রামের চিকিৎসকেরা দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করেন। ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ সকাল ৬টা থেকে ২৪ ঘণ্টা ব্যক্তিগত চেম্বার বন্ধ রাখার পাশাপাশি ল্যাব ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও বেসরকারি হাসপাতালে রোগী ভর্তি বন্ধ রাখা হয়েছে।

সকাল থেকে নগরের এপিক হেলথ কেয়ার, শেভরন ডায়াগনস্টিক সেন্টার, পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ প্রায় সব সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানে রোগী সেবা দেওয়া বন্ধ রয়েছে।

বেলা ১১টার দিকে নগরের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকার এপিক হেলথ কেয়ারে গিয়ে দেখা যায়, ফটকে ঝুলছে একটি ব্যানার। যেখানে লেখা আছে , বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) কর্মসূচি অনুযায়ী, ২৩ তারিখ এপিক হেলথ কেয়ারের সব সেবা কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

এর আগে শনিবার (২০ এপ্রিল) চট্টগ্রামের সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২ ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করেন চিকিৎসকরা।

জানা গেছে, গত ১১ এপ্রিল চট্টগ্রামের পটিয়া জেনারেল হাসপাতালে দুর্ঘটনায় আহত এক রোগীকে চিকিৎসা দিতে দেরি হওয়ার অভিযোগ এনে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রক্তিম দাশকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ডা. রক্তিম দাশ বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এই ঘটনার রেশ না কাটতেই গত ১৪ এপ্রিল চট্টগ্রাম মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে এনআইসিইউতে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে এক শিশুর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রিয়াজ উদ্দিন শিবলুর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। ডা. রিয়াজ বর্তমানে চমেক হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। তার অবস্থা স্থিতিশীল হলেও এখনো শঙ্কা মুক্ত নয়। তাছাড়া এ ঘটনায় হাসপাতালের কয়েকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারী জখম হয়েছেন।

এ দুই ঘটনার জের ধরে গত ১৮ এপ্রিল চমেক হাসপাতালের সামনে জড়ো হয়ে মানববন্ধন করেন চিকিৎসকরা। চট্টগ্রাম মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে যোগ দেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) ও পেডিয়াট্রিক্স ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন, ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশেন এবং বেসরকারি হাসপাতাল সমিতির নেতারা।

এএজেড/এসএনআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।