‘ইজিবাইক-অটোরিকশায় ৮ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আহরণ সম্ভব’
![‘ইজিবাইক-অটোরিকশায় ৮ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আহরণ সম্ভব’](https://cdn.jagonews24.com/media/imgAllNew/BG/2023March/press-club-20240423163357.jpg)
ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও অটোরিকশা অনুমোদনের আওতায় এনে নিবন্ধন প্রদান করা হলে বছরে ৮ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আহরণ সম্ভব হবে। বর্তমানে এ খাতের বিপুল অংকের টাকা চাঁদাবাজরা নিয়ে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত সরকার এসব যানবাহন থেকে ১৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব বঞ্চিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বাংলাদেশ ইলেকট্রিক ব্যাটারি অ্যান্ড মোটরচালিত অটোরিকশা অটোবাইক সার্ভিস লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান। ইজিবাইক-অটো রিকশা সরকারি নিবন্ধনের দাবিও জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবুল কালাম, প্রতিষ্ঠানের আইন উপদেষ্টা ও ডিরেক্টর অ্যাডভোকেট মো. জাহিদুল ইসলাম, ডিরেক্টর মো. মুজিবুর রহমান রানা, মার্কেটিং ডিরেক্টর মো. আকতার আহমেদ, নির্বাহী পরিচালক আকতার হোসেন, ডিরেক্টর মো. মোস্তাফিজুর রহমান, মো. সাইফুল ইসলাম, মার্কেটিং অফিসার মো আনোয়ারুল কবির প্রমুখ।
প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবুল কালাম বলেন, আমদানিকারকরা বিভিন্নভাবে ইজিবাইক আমদানি করে রাস্তায় নামিয়েছে। এর মাধ্যমে লাখ লাখ কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে অনেক শিক্ষিত বেকার রয়েছে। ২০১৬ সালে সারাদেশে ইজিবাইক ও অটোরিকশার সংখ্যা ছিল দুই থেকে আড়াই লাখ। বর্তমানে সেটি ৫০ লাখে উন্নীত হয়েছে। বিশাল সেক্টরের আয়ের সিংহভাগ চাঁদাবাজরা বিভিন্নভাবে আদায় করে নিয়ে যাচ্ছে। এর সঙ্গে কিছু পৌরসভার মেয়ররা জড়িত রয়েছে। এছাড়া সারাদেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় ও মহানগরের পাড়া মহল্লায় চাঁদাবাজ চক্র গড়ে উঠেছে।
অথচ সঠিকভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এসব যানবাহনকে নিবন্ধনের আওতায় আনা হলে বছরে ৮ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব পাবে সরকার। বিগত সময়ে এখাত থেকে সরকার ১৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব বঞ্চিত হয়েছে।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ইজিবাইক ও চালকদের নিবন্ধনের আওতায় এনে অনুমোদন দিন, অন্যথায় এসব যানবাহন বন্ধ করে দিন। কিন্তু তৃতীয় কোন পক্ষকে সুযোগ না দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এসব যানবাহনকে অনুমোদন দেওয়ার জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। কিন্তু বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) ওই প্রজ্ঞাপনের আলোকে নিবন্ধন দেওয়ার কোন কার্যক্রম গ্রহণ করছে না। বিআরটিএর চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা গড়িমসি করছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি সরকারকে প্রস্তাব দিয়ে বলেন, ‘আমাদের এ প্রতিষ্ঠানকে কাজে লাগিয়ে সরকার সারাদেশের ৪০ লাখ ইজিবাইক অটো রিকশা থেকে ১৫ শতাংশ ভ্যাট ও ৫ শতাংশ ট্যাক্স সহকারে আনুমানিক আট হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করতে পারে। সারাদেশে আমাদের প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব অফিসের মাধ্যমে এ কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে বলে জানান তিনি।’
আরএএস/এসআইটি/এএসএম