লু’র সফরে খেই হারিয়ে ফেলেছে বিএনপি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র ঢাকা সফরে বিএনপি নেতাদের মাথা আরও খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপির অনেক সিনিয়র নেতা এখন খেই হারিয়ে ফেলেছে।
১৭ মে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে রাজধানীর তোপখানা রোডে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির রাজনীতি নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ডোনাল্ড লু’র ঢাকা সফরের পর বিএনপি নেতাদের মাথা আরও খারাপ হয়ে গেছে। তারা অনেক চেষ্টাও করেছিল দেখা-সাক্ষাৎ করার। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বার্তা দিয়ে গেছে তারা সম্পর্ককে আরও গভীর করতে চায়। এজন্য মাথা খারাপ বিএনপি এখন খেই হারিয়ে ফেলেছে।
তিনি বলেন, ‘আগে দেখতাম দু-একজন নেতা খেই হারিয়ে ফেলে আবোল-তাবোল কথা বলেন। এখন সিনিয়র নেতারাও খেই হারিয়ে ফেলছেন। তাদের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে কোনো লাভ হয়নি।’
মন্ত্রী বলেন, দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। ১৯৮১ সালের ১৭ মে জননেত্রী শেখ হাসিনা সব রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে দেশে ফিরে এসে যেমন আওয়ামী লীগকে পুনরায় সংগঠিত করেছেন, তেমনি দেশকে বিস্ময়করভাবে এগিয়ে নিয়ে বিশ্বের দরবারে অনন্য মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন।
ড. হাছান বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনাকে প্রায় ১৯ বার হত্যার অপচেষ্টা চালানো হয়েছিল। কিন্তু বারবার মৃত্যু উপত্যকা থেকে ফিরে এসেও তিনি বিচলিত হননি। তিনি মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়েছেন, জীবনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে পথ চলেছেন। কিন্তু জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের কাফেলা থেকে কখনো বিচ্যুত হননি।’
ইতিহাসের দিকে দৃকপাত করে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় আহত হাছান মাহমুদ বলেন, ‘চট্টগ্রামে ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি শেখ হাসিনাকে হত্যার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। সেদিন সেই মিছিলের সম্মুখভাগে আমি ছিলাম। কোটালীপাড়ায় ৮১ কেজি বোমা পুঁতে রেখে, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে বৃষ্টির মতো গ্রেনেড ছুঁড়ে তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসে জননেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা কখনো বিচলিত হননি।’
স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজুর সভাপতিত্বে ও বঙ্গবন্ধু একাডেমির মহাসচিব হুমায়ুন কবির মিজি’র সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিম, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক মহাসচিব সফিকুল বাহার মজুমদার, স্বাধীনতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন টয়েল প্রমুখ।
আইএইচআর/এমএএইচ/জেআইএম