ঢাকায় এডওয়ার্ড এম কেনেডি সেন্টারে সংগীত সন্ধ্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৫৭ এএম, ১৯ মে ২০২৪

মুক্ত আলোচনা, তথ্যপূর্ণ পদক্ষেপ এবং ব্যক্তিগত উন্নতির জন্য অরাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম ইএমকে (এডওয়ার্ড এম. কেনেডি) সেন্টারে সংগীত সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৮ মে) ‘মিউজিক্যাল ওডিসি ২.০’ নামে এক সংগীত সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়।

২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত সেন্টারটি বর্তমানে জাগো ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের আমেরিকান সেন্টার দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। এই সেন্টার যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক উদযাপন করে। অনুষ্ঠানে তরুণ সংগীতশিল্পীরা বাংলা ও আমেরিকান সংগীতের মেলবন্ধন ঘটান।

চমৎকার যন্ত্রসংগীত পরিবেশন ‘যুগলবন্দি’ দিয়ে শুরু হয় মূল আয়োজন। যা তবলা, বাঁশি এবং বেহালার জটিল সুরের মিশ্রণ ছিল। এরপর শুরু হয় বৈচিত্র্যময় সংগীত ভ্রমণ, যেখানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘পুরানো সেই দিনের কথা’ এবং ‘ভালোবেসে সখী’র মতো ক্লাসিক গানগুলো কজোন, বেস গিটার, ইলেকট্রিক গিটার, তবলা এবং কিবোর্ড দিয়ে পরিবেশিত হয়। লালনের ‘আমি অপার হয়ে বসে আছি’ এবং ‘যেখানে সাঁইয়ের বারাম খানা’র আবেগপূর্ণ পরিবেশনা হয়। যা খমক এবং দোতারার মতো ঐতিহ্যবাহী যন্ত্র দিয়ে সমৃদ্ধ, বাংলাদেশের গভীর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তুলে ধরে।

বাংলাদেশী ঐতিহ্যবাহী সংগীত ছাড়াও অনুষ্ঠানে সমসাময়িক বিশ্বব্যাপী হিট গানগুলোর পরিবেশনা ছিল, যা সুরের এক সুন্দর গাঁথুনি তৈরি করে। রিচার্ড মার্ক্সের ‘রাইট হিয়ার ওয়েটিং’ এবং আর্কটিক মাঙ্কিসের ‘ডু আই ওয়ানা নো’র পরিবেশনা আধুনিকতার স্পর্শ এনে দেয়, যা সন্ধ্যার প্রোগ্রামের সঙ্গে ছিল সামঞ্জস্যপূর্ণ।

ড. সাজিদ রহমান (তবলা), আরহাম জাহিন (বেহালা) এবং শৈবল সাহার (বাঁশি) মতো বিশিষ্ট শিল্পীদের পারফরম্যান্স ছিল বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। যা তাদের অসাধারণ প্রতিভা এবং বহুমুখিতা প্রদর্শন করে।

ঢাকায় এডওয়ার্ড এম কেনেডি সেন্টারে সংগীত সন্ধ্যা

বৈচিত্র্যময় সংগীত তালিকায় একটি আকর্ষণীয় গিটার ম্যাশ-আপ এবং লাকি আকন্দের ‘আজ এই বৃষ্টির কান্না দেখে’, শিরোনামহীনের ‘হাসিমুখ’, এবং পাগল হাসানের ‘কার আসমানে’র মতো আবেগপূর্ণ গান অন্তর্ভুক্ত ছিল। মান্না দের ‘এত রাগ নয় গো’ এবং আব্দুল আলিমের ‘সর্বনাশা পদ্মা নদী’র আবেগপূর্ণ পরিবেশনা, এবং ‘বৃষ্টি দেখে অনেক কেঁদেছি’ শ্রোতাদের মুগ্ধ করে।

‘মিউজিক্যাল ওডিসি ২.০’ সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনের জন্য একটি প্রাণবন্ত প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করেছে। যার লক্ষ্য ছিল সাংস্কৃতিক সীমানা অতিক্রম করা এবং সুরের শক্তির মাধ্যমে মানুষকে সংযুক্ত করা। এই ইভেন্টটি শুধুমাত্র যুব প্রতিভাদের সংগীতশিল্পের উদযাপনই নয়, বরং বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্ব এবং সাংস্কৃতিক সম্পর্ককেও উদযাপন করেছে। এই উদ্যোগটি সেই প্রতীকী ইঙ্গিতের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ ছিল, যা বন্ধুত্ব, স্থিতিস্থাপকতা এবং আশার প্রতিনিধিত্ব করে।

আইএইচআর/কেএসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।