‘রাজস্ব আহরণে লক্ষ্য নির্ধারণ করলে এনবিআরের অসহায়ত্ব প্রকাশ পায়’
![‘রাজস্ব আহরণে লক্ষ্য নির্ধারণ করলে এনবিআরের অসহায়ত্ব প্রকাশ পায়’](https://cdn.jagonews24.com/media/imgAllNew/BG/2023March/tax-20240520053209.jpg)
বাজেটে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দিলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অসহায়ত্ব প্রকাশ পায় বলে মন্তব্য করেছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।
রোববার (১৯ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশের কর ব্যবস্থার ডিজিটালাইজেশন: পরবর্তী করণীয়’ শীর্ষক এক ডায়ালগে এ মন্তব্য করেন তিনি। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় আয়োজিত ডায়ালগে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. মোস্তাফিজুর রহমান।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘প্রতিবার যখন বাজেট টার্গেট দেওয়া হয়, তখন আসলে এনবিআরের অসহায়ত্বটা প্রকাশ পায়। টার্গেট একটি দিয়ে দেওয়া হলো, সক্ষমতা আসলে কতটকু আছে এবং টার্গেট অলৌকিক। সক্ষমতা হিসাব না করে ফিন্যান্স থেকে টার্গেট দেওয়া হয় এবং এ টার্গেটটা পূরণ করতে হবে। এসব করতে গিয়ে ইনোভেটিভ আইডিয়া নিয়ে চিন্তার সুযোগ থাকে না।
কারণে এ টার্গেটের সঙ্গে মিল রেখে অন্যান্য ব্যয় নির্ধারণ করা হয়। ইনোভেটিভ কোনো চিন্তা, রিফর্মের কোনো চিন্তা- কোনো কিছু করার সুযোগ থাকে না। শুধু ওই টার্গেটের পেছনে ছুটতে হয়। আবার ওই টার্গেট ঠিক করা হয় আগের বছরের টার্গেটের সঙ্গে পার্সেন্টেজ ধরে, রিভাইজড টার্গেট বিবেচনায় নেওয়া হয় না। টার্গেটের বোঝা মাথায় থাকায় অনেক ইনোভেটিভ আইডিয়া ও অনেক কিছু চিন্তা করার সুযোগ থাকে না।’
সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘যারা কর দেয় না, দেশের টাকা পাচার করে তারা রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িকভাবে অনেক শক্তিশালী। কর আদায়ে ন্যায্য্যতা দরকার। এখানে আর্থিক রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি দৃশ্যমান না হলে অসহায় এনবিআর কর আহরণে বড় ঝুঁকির মধ্যে পড়ে। এনবিআরকে রাজনৈতিক সুরক্ষা দিতে হবে। এ সুরক্ষা দিয়ে এনবিআরের প্রতি দৃশ্যমান সমর্থনকে প্রকাশ করতে হবে।
মূলপ্রবন্ধে মোস্তাফিজুর বলেন, শতভাগ ই-ফাইলিং নিশ্চিত করতে পারলে কর আহরণ মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) পাঁচ শতাংশ বাড়বে।
এসএম/এমএএইচ/