নিরাপত্তা নিশ্চিতে নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের ১১ দফা দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৪০ পিএম, ২৩ মে ২০২৪

আমদানি ও রপ্তানি পণ্য পরিবহন অনেকাংশেই নৌপরিবহনের ওপর নির্ভরশীল। তারপরও নৌযান শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন ও নিরাপত্তার বিষয়টি উপেক্ষিত। আর এজন্য সরকারের কাছে ১১ দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতারা তাদের দাবি উপস্থাপন করেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো. শাহ আলম, কোষাধ্যক্ষ হাবিবুল্লা বাহার, নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের সভাপতি আজিজুল হক প্রমুখ।

লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আশিকুল আলম বলেন, আমদানি ও রপ্তানি পণ্য পরিবহন অনেকাংশেই নৌপরিবহনের ওপর নির্ভরশীল হওয়া সত্ত্বেও নৌযান শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন ও নিরাপত্তার বিষয়টি উপেক্ষিত থেকেছে। আমরা সমস্যাগুলোর স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে বছরের পর বছর দাবি জানিয়ে ও সংগ্রাম করে আসছি। সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের আন্দোলনের মুখে দাবি মেনে নিয়ে কিছু কিছু কার্যকর করলেও অধিকাংশ সিদ্ধান্তই অকার্যকর।

তিনি আরও বলেন, নৌযান শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ট্রাস্টি বোর্ডের মাধ্যমে কন্ট্রিবিউটারি প্রভিডেন্ট ফান্ড ও নাবিক কল্যাণ তহবিল গঠন এবং প্রত্যেক শ্রমিককে মালিক কর্তৃক নিয়োগপত্র-পরিচয়পত্র-সার্ভিসবুক প্রদানের দাবি ৪ বছর অতিবাহিত হলেও তা বাস্তবতার মুখ দেখেনি। দুর্ঘটনা ও কর্মস্থলে মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ ১০ লাখ টাকার যৌক্তিক দাবির বিষয়টি এখনো অমীমাংসিত।

সাধারণ সম্পাদক বলেন, শ্রমিকের জীবিকা ও শিল্পের প্রয়োজনে অচিরেই সব মালিক সমিতিকে এক প্লাটফর্মে এনে পণ্যপরিবহনে সমতা বিধান করতে হবে। অন্যথায় প্রায় ২ হাজার জাহাজের অর্ধেক লোকসানের বোঝা বহন করতে না পেরে বন্ধ হয়ে যাওয়াসহ হাজার হাজার নৌশ্রমিক বেকার হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পণ্যবাহী ও যাত্রীবাহী জাহাজের অনেক মালিক নিয়মিত বেতন পরিশোধ করতে পারছে না।

বক্তব্যে আরও বলা হয়, পণ্যপরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার বিষয়ে ইতিপূর্বে আমরা ২ ও ২৫ জানুয়ারি নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বরাবর দুটি চিঠি পাঠাই। প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশনায় নৌপরিবহন অধিদপ্তর পণ্যপরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে নিরপেক্ষ অবস্থানে থেকে যৌক্তিক ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেও স্বার্থান্বেষী মহলের চক্রান্তে সেটা থমকে গেছে। অতিদ্রুত পণ্যপরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব না হল আসন্ন ঈদুল আজহার বেতন বোনাস না পাওয়াসহ চাকরি রক্ষার বিষয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছে নৌ শ্রমিকরা।

এসব সমস্যার সমাধানে ১৮ ফেব্রুয়ারি ১১ দফা দাবি নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর নিকট উপস্থাপন করা হলেও এখন অব্দি তার কোনো অগ্রগতি হয়নি। তবে ৩০ মে আমাদের দাবি নিষ্পত্তির লক্ষ্যে আন্তঃমন্ত্রনালয় সভা আহ্বান করা হয়েছে। এরপরও দাবি বাস্তবায়িত না হলে আমরা কর্মবিরতির কর্মসূচি শুরু করতে বাধ্য হবো।

এএএম/জেডএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।