ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা
জাপানে প্রশিক্ষণ নেওয়া ১৩ কর্মকর্তার ডিএমপি কমিশনারের সাক্ষাৎ
জাপানে উন্নত ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেওয়া ১৩ কর্মকর্তা ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
জাইকার ঢাকা রোড ট্রাফিক সেফটি প্রজেক্ট (ডিআরএসপি) এর আওতায় ‘ঢাকা রোড ট্রাফিক সেফটি’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ গত ৮-২৩ মে জাপানে অনুষ্ঠিত হয়।
এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে উন্নত ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার ওপর বাস্তবমুখী গুরুত্বপূর্ণ ধারণাসহ জাপানের রোড ট্রাফিক সেফটি, অ্যাক্সিডেন্ট ডাটা অ্যানালাইসিস, ট্রাফিক সিমুলেশন্স, ট্রাফিক ওয়ার, পাবলিক রিলেশন্স অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেন ডিএমপি কর্মকর্তারা।
প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী সদস্যরা হলেন- ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-দক্ষিণ) এস এম মেহেদী হাসান, ট্রাফিক-মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ মইনুল হাসান, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-তেজগাঁও) কাজী রোমানা নাসরিন, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস্ বিভাগ) কে. এন. রায় নিয়তি, সহকারী পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক রমনা) মো. সাকিব হোসাইন, সহকারী পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা-উত্তরা বিভাগ) বাহা উদ্দীন ভূঁঞা, সহকারী পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-মিরপুর জোন) মো. হালিমুল হারুন, পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও যানবাহন) মো. সুজাউদ্দৌলা চৌধুরী, পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও যানবাহন) মোস্তফা কামরুল হাসান, পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও যানবাহন) মো. আবু জাফর, সার্জেন্ট বিপ্লব হোসাইন, সার্জেন্ট মিনহাজুল হোসাইন খান ও সার্জেন্ট এস এম কামরান।
প্রশিক্ষণ নেওয়া কর্মকর্তারা ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সের দ্বিতীয় তলার সম্মেলন কক্ষে ডিএমপি কমিশনারের কাছে প্রশিক্ষণ সম্পর্কে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে বিস্তারিত তুলে ধরেন। মানুষকে শিশুকাল থেকেই ট্রাফিক নিয়ম কানুন সম্পর্কে জানানো ও অভ্যস্ত করে তুলতে ‘চিলড্রেনস ট্রাফিক পার্ক’ স্থাপন জাপান ট্রাফিক পুলিশের অন্যতম একটি কৌশল। এ কৌশলকে কাজে লাগিয়ে নতুন প্রজন্মকে শিশুকাল থেকেই ট্রাফিক আইন সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে ঢাকায় ‘চিলড্রেনস ট্রাফিক পার্ক’ স্থাপনের যৌক্তিকতা তুলে ধরেন কর্মকর্তারা।
এছাড়া শিশুরা ছোটবেলা থেকেই স্বাবলম্বী হয়ে কীভাবে একাই স্কুলে যাচ্ছে এবং কমিউনিটি কীভাবে তাদের সহযোগিতা করছে সে বিষয়গুলোও তুলে ধরা হয়।
ডিএমপি কমিশনার সভায় প্রশিক্ষণ নেওয়া কর্মকর্তাদের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বিস্তারিত শুনেন। ঢাকা মহানগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন ও জনসাধারণকে ট্রাফিক আইন সম্পর্কে সচেতন করার বিষয়ে প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান কীভাবে কাজে লাগানো যায় সে বিষয়ে নির্দেশনা দেন। এজন্য তিনি মোহাম্মদপুরের বসিলা ও উত্তরা দিয়াবাড়ী পুলিশ লাইনসে ‘চিলড্রেনস ট্রাফিক পার্ক’ স্থাপনের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
এছাড়াও ডিএমপি কমিশনার অ্যাক্সিডেন্ট ডাটা রিসার্সের জন্য জাপানের মতো ডিএমপিতেও ট্রাফিক রিসার্স সেন্টার স্থাপনের উদ্যোগ নেন।
এসময় ডিএমপি কমিশনার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ট্রাফিক কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, আপনাদের প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞানের যথাযথ প্রয়োগ ঘটিয়ে ঢাকা মহানগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থার আধুনিকায়নে কাজ করবেন।
সভায় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান ও জাইকার প্রতিনিধিসহ ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
টিটি/এমকেআর