বাড্ডায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে যুবক নিহত
রাজধানীর বাড্ডায় একটি বাসার নিচতলায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে সোলায়মান (৩৫) নামের এক হোটেলকর্মী নিহত হয়েছেন। এছাড়া শান্তা নামের এক নারী আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সকালে বাড্ডা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু জাফর হাওলাদার জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা ৪৩ মিনিটে বাড্ডার ডিআইটি ৪ নম্বর সড়কে তিতাস গ্যাসের লাইন লিকেজ হয়ে বিস্ফোরণ ঘটে। ওই সড়কে খোঁড়াখুঁড়ি চলছিল। ধারণা করা হচ্ছে, ভবনের নিচে গ্যাস জমা ছিল এবং গ্যাসের লাইন লিকেজ হয়ে বিস্ফোরণ ঘটে।
আরও পড়ুন
- ভাসানটেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও একজনের মৃত্যু
- গাজীপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ আরও একজনের মৃত্যু
- পোশাককর্মী ইয়াসিনকেও বাঁচানো গেলো না, মৃত বেড়ে ১২
বিস্ফোরণে ভবনের সামনে থাকা একটি হোটেলের কর্মী সোলায়মান মারা যান। আর ভবনের নিচতলায় থাকা শান্তা নামের এক নারী আহত হয়েছেন। তাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান এসআই আবু জাফর হাওলাদার।
দগ্ধ শান্তার স্বামী নাসির হাওলাদার বলেন, আমি পেশায় মাছ ব্যবসায়ী। ভোরে নামাজ পড়ে বাসা থেকে বেরিয়ে যাই। খবর পেয়ে বাসায় ফিরে এসে দেখি আমার স্ত্রী দগ্ধ হয়ে পড়ে আছে। পরে ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসি।
তিনি আরও বলেন, কয়েকদিন ধরে আমাদের বাসার পাশে রাস্তায় খোঁড়াখুঁড়ি চলছিল। মাঝে মাঝে আমরা সেখান থেকে গ্যাসের গন্ধ পেতাম। খোঁড়াখুঁড়ির কারণে গ্যাসলাইনের লিকেজ থেকে আমার ঘরে গ্যাস জমে ছিল। আজ সকালে আমার স্ত্রী রান্না করতে গেলেই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম বলেন, গৃহবধূ শান্তার শরীরের ৩৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
টিটি/কাজী আল-আমিন/বিএ/এএসএম
