দুদক চেয়ারম্যান

দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় না মন্ত্রণালয়গুলো

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:২৩ এএম, ১১ জুন ২০২৪

মন্ত্রণালয়গুলো দুর্নীতির ব্যারেজ খুলে রেখেছে বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ। তিনি অভিযোগ করেছেন, মন্ত্রণালয়গুলো দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় না।

সোমবার (১০ জুন) দুদক মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড-২০২০, ২০২১ এর বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ও রিপোর্টার্স এগেইনস্ট করাপশনের (র্যাক) সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে বক্তব্যদানকালে দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ এ অভিযোগ করেন।

দুদক মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড প্রদান ও মতবিনিময় অনুষ্ঠানে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, কোনো মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিধিতে দুর্নীতি দমনের কোনো কথা বলা নেই। সব মন্ত্রণালয় যেন দুর্নীতির ব্যারেজ খুলে রেখেছে। মন্ত্রণালয়গুলোর আইনে দুর্নীতি বিরোধী ধারা থাকতে হবে।

এদিন, ঢাকার সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সভাপতিত্ব করেন দুদক চেয়ারম্যান। এসময় দুদক কমিশনার মো. জহুরুল হক, মোছা. আছিয়া খাতুন, দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন, জুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান মনজুরুল আহসান বুলবুলসহ বোর্ডের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

দুদক চেয়ারম্যান আরও বলেন, দুর্নীতি প্রমাণ করা অত্যন্ত কঠিন কাজ। দুদকের একার পক্ষে সব ধরনের দুর্নীতি দমন করা সম্ভব নয়। মন্ত্রণালয়গুলো দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তারা ব্যবস্থা নিলে এত অভিযোগ দুদকে আসতো না। তাদের পক্ষ থেকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলে দুদেকে অভিযোগ কম আসবে- দুদক এটাই চায়। সব ক্ষেত্রে দুর্নীতি যেন না হয় তার জন্য প্রতিরোধ করা জরুরি। সাংবাদিকরা যে কাজ করেন আর দুদক যে কাজ করে এসব কাজের একে অপরের পরিপূরক।

২০২০ ও ২০২১ সালের জন্য প্রিন্ট, অনলাইন ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার বিজয়ী ১২ জন সাংবাদিক দুদক চেয়ারম্যানের হাত থেকে ক্রেস্ট, সনদ ও আর্থিক সম্মানী গ্রহণ করেন।

দুদক কমিশনার মো. জহুরুল হক বলেন, সমাজে যাদের ক্ষমতা আছে তারাই দুর্নীতি করে। আপনারা সিআইপি, ভিআইপি যাদেরকে সম্মান দিয়ে এগিয়ে আনতে যান তারা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। আপনাদের লেখনীর মাধ্যমে তাদের মুখ উন্মোচন করতে হবে। সামাজিক ভাবে তাদের বয়কট করতে হবে। এক্ষেত্রে ক্ষমতাবানদের ভয় পেলে চলবে না। কালোকে সর্বদা কালো বলতে হবে লেখনিতে দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট প্রমাণ থাকতে হবে।

দুদক কমিশনার মোছা. আছিয়া খাতুন বলেন, ভবিষ্যতের বাংলাদেশের জন্য সুন্দর একটি প্রজন্ম রেখে যেতে হবে। আর এ জন্য সবাই মিলে কাজ করতে হবে। দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।

দুদক মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড জুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, প্রতিযোগিতার জন্য জমা হওয়া প্রতিবেদনগুলোতে দুর্নীতির অনেক তথ্য উপাত্ত এসেছে সেগুলো দুদক আমলে নিয়ে অনুসন্ধান চালালে দুর্নীতিবাজরা আতঙ্কে থাকবে। একইসঙ্গে সাংবাদিকরা তাদের কাজের ক্ষেত্রে উৎসাহিত হবে।

২০২০ ও ২০২১ সালে যারা বিজয়ী :

২০২০: প্রিন্ট ও অনলাইন ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছেন প্রথম আলোর সিনিয়র রিপোর্টার সানাউল্লাহ সাকিব, দ্বিতীয় হয়েছে দৈনিক যুগান্তরের সিনিয়র রিপোর্টার মিজানুর রহমান চৌধুরি, তৃতীয় হয়েছেন দৈনিক কালেরকন্ঠের পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি এমরান হাসান সোহেল। একইবছরে ইলেকট্রনিক ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছেন এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার মাহবুব কবীর চপল, দ্বিতীয় হয়েছেন মাছরাঙ্গা চেয়ারম্যানের বিশেষ প্রতিনিধি কাওসার সোহেলী, তৃতীয় হয়েছেন ডিবিসি নিউজ টেলিভিশনের মুহাম্মদ আরাফাতুল মোমেন।

২০২১: প্রিন্ট ও অনলাইন ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছেন ঢাকা পোষ্টের সিনিয়র রিপোর্টার আদনান রহমান, দ্বিতীয় হয়েছেন আমাদের সময়ের সিনিয়র রিপোর্টার জিয়াদুল ইসলাম, জাগো নিউজেন টুয়েন্টি ফোর এর স্টাফ রিপোর্টার সাইফুল হক পাটওয়ারী। এইবছরে ইলেকট্রনিক ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছেন ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার মো: আবদুল্লাহ আল রাফি, দ্বিতীয় হয়েছেন মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার আনোয়ার হোসেন, মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি নূর সিদ্দিকী।

এসএম/এসএনআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।