এবার ঈদে মহাসড়কে চাঁদাবাজি অনেক কম হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:০৭ পিএম, ১১ জুন ২০২৪
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান

আসন্ন ঈদুল আজহায় মহাসড়কে চাঁদাবাজি অনেক কম হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

তিনি বলেন, বিভিন্ন সময় পুলিশ ফিটনেসবিহীন গাড়ি চেক করার জন্য সড়কে থামায়। গাড়িতে অবৈধ কিছু নিয়ে যাচ্ছে- এমন মনে করলে পুলিশ গাড়ি থামায়। এটা কোনো চাঁদাবাজির অংশ নয়। এটা নিয়মিত চেকিংয়ের বিষয়। চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাজ করছে, পাশাপাশি রাজনৈতিক নেতারাও চাঁদাবাজির বিষয়ে খেয়াল রাখছেন। আমরা আশা করি, এবার ঈদুল আজহায় চাঁদাবাজি অনেক কম দেখবো।

মঙ্গলবার (১১ জুন) রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে হাইওয়ে পুলিশের ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা মহাসড়কে চাঁদাবাজি অ্যাল্যাও করি না। কোন স্টেশনে কত টাকা সার্ভিস চার্জ দেবে সেই তালিকা পরিবহন সেক্টরের নেতারা আমাদের দিয়ে দেন। এর বাইরে গেলে তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যেতে বলেন। আমরা সেই তালিকা প্রধান্য দিয়ে থাকি।

মন্ত্রী বলেন, তাদের সার্ভিস চার্জ নির্দিষ্ট স্থান থেকে নেওয়া হোক। নির্দিষ্ট স্থান থেকে না নেওয়ায় পুলিশও বিব্রত হয়। অনেকে মনে করে চাঁদাবাজি হচ্ছে।

আরও পড়ুন

এর আগে হাইওয়ে পুলিশের ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের মূল কাজটি হলো সড়ক নিরাপদ রাখা। মানুষের শরীরে যদি রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায় তবে মানুষ বিকল হয়ে পড়বে। তেমনই সড়কে যদি পরিবহন ঠিকভাবে চলে তাহলেই ব্যবসা-বাণিজ্য যোগাযোগব্যবস্থা স্বাভাবিক থাকবে। নৌপথে নিরাপত্তার জন্য গঠন করা হয়েছে নৌ-পুলিশ, হাইওয়ে নিরাপদ রাখতে করা হয়েছে হাইওয়ে পুলিশ। প্রয়োজনীয় আইনও বাস্তবায়ন করা হয়েছে। আমি মনে করি, সবাই যদি আইন মেনে চলে তবে কাউকে আর জরিমানা দিতে হবে না।

তিনি বলেন, মহাসড়কে নসিমন-করিমন চলাচলের বিষয়ে ব্যবস্থা নিয়েছি। আমরা চাই অবৈধ কোনো যান যেন মহাসড়কে না আসে। মহাসড়ক যেন নিরাপদ থাকে সেজন্য আমরা কাজ করছি। আমাদের হাইওয়ে পুলিশ কাজ করছে।

টিটি/ইএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।