জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঢাকার তাপমাত্রা বাড়ছে: পরিবেশমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:২৩ পিএম, ১৩ জুন ২০২৪

বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা বাড়ছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর লিখিত প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন। এসময় সংসদে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার শিরীন শারমিন।

মন্ত্রী বলেন, ঢাকায় দুই সিটি করপোরেশন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এবং সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের আওতায় বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। বন অধিদপ্তর রাজধানী ঢাকায় জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান ব্যবস্থাপনা করে থাকে, যা উদ্ভিদ প্রজাতি সংরক্ষণ, গবেষণা ও প্রদর্শনের কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত।

সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, কার্বন নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণে সবুজায়নের কোনো বিকল্প নেই। সে লক্ষ্যে জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে বন অধিদপ্তর সারাদেশে ব্যাপক বনায়নের লক্ষ্যে দুটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

তিনি জানান, সমাপ্ত প্রকল্পসমূহের মাধ্যমে প্রত্যেক সংসদ সদস্যকে প্রকল্প চলাকালীন সময়ে ৫ হাজার চারা বিতরণ করা হয়েছে এবং চলমান প্রকল্পসমূহের মাধ্যমেও প্রত্যেক সংসদ সদস্যকে ৫ হাজার চারা বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

তিনি আরও জানান, জলবায়ু পরিবর্তন ট্রান্ট ফান্ডের অর্থায়নে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের হর্টিকালচার বিভাগ কর্তৃক ২৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘ঢাকা শহরে জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন ও অভিযোজন ক্ষমতাসম্পন্ন সবুজ ছাদবাগান এবং সবুজ প্রাচীর নির্মাণ করে শহরে তাপ ও কার্বন নিঃসরণ কমানো পরিকল্পনা বাস্তবায়ন’ সংক্রান্ত একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

এ প্রকল্পের আওতায় ঢাকা শহরের ১০০টি সরকারি স্কুল ও কলেজে এবং আবাসিক স্থাপনায় রুফটপ গার্ডেনিং অ্যান্ড ল্যান্ডসক্যাপিং করে কার্বন নিঃসরণ কমানোর পরিকল্পনা বাস্তবায়নের বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে গ্রিন হাউজ গ্যাস বিশেষ করে কার্বন-ডাই-অক্সাইড ও মিথেন গ্যাস নির্গমন হ্রাসের পাশাপাশি শহরের তাপমাত্রা অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ হবে।

আইএইচআর/এমকেআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।