শাহজাহানপুর হাটে পর্যাপ্ত পশু, কিন্তু ‘দাম বেশি’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:০৫ পিএম, ১৪ জুন ২০২৪

ঈদুল আজহার বাকি আর মাত্র দুদিন। এরই মধ্যে জমে উঠেছে রাজধানীর শাহজাহানপুরের কোরবানির পশুর হাট। এই হাটে বড় থেকে ছোট সব ধরনের গরু থাকলেও মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি। তবে গরুর দাম নিয়ে রয়েছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

শুক্রবার সরেজমিনে দেখা গেছে, উত্তর শাহজানপুর খিলগাঁও রেলগেট বাজার মৈত্রী সংঘ ক্লাব সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গায় বসেছে পশুর হাট। এখানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কোরবানির পশু নিয়ে এসেছেন ব্যাপারীরা।

গরু ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, গত দুদিন থেকে এই হাটে গরু বেচাকেনা শুরু হলেও সেভাবে জমে ওঠেনি। তবে আজ বিকেল থেকে ক্রেতা বেশি আসছেন। এ দুদিন বেচাকেনা বেশি হবে।

রাজশাহী থেকে ১৬টি গরু নিয়ে হাটে এসেছেন সেলিম নামে এক ব্যাপারী। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, গতকাল থেকে আজ পর্যন্ত পাঁচটি গরু বিক্রি হয়েছে। গতকাল বাজার ঠান্ডা ছিল। আজ কাস্টমারদের ভিড় বাড়ছে। সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা দামের গরু রয়েছে এই হাটে।

শাহজাহানপুর হাটে পর্যাপ্ত পশু, কিন্তু ‘দাম বেশি’

সিরাজগঞ্জ থেকে গরু নিয়ে এসেছেন মনিরুল ইসলাম। তিনি জানান, দুই লাখের নিচে গরুর চাহিদা বেশি। আটটি গরু বিক্রি করেছি সবগুলোর দাম ১ লাখ ২০ হাজার থেকে ১ লাখ ৮০ হাজারের মধ্যে। তবে মানুষ ৮০-১ লাখ টাকার মধ্যে গরু চায়।

দামের বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের কাছে মনে হয় দাম স্বাভাবিক রয়েছে। কিন্তু ক্রেতারা বলেন, আমরা না কি দাম বেশি রাখি।

ক্রেতারা বলছেন, এবার ছোট থেকে মাঝারি আকারের গরু দেড় লাখ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না। বাজারে পর্যাপ্ত পশু রয়েছে। কিন্তু দাম কমছে না।

রাজধানীর রামপুরা থেকে গরু কিনতে এসেছেন সাকিফ হাসান। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, দেড় লাখের টার্গেট নিয়ে গরু কিনতে এসেছি। দুই শরিকে কোরবানি দেবো। কিন্ত গরুর দাম কমছে না। ব্যাপারীরা প্রতি গরুতে ৩০-৫০ হাজার টাকা বেশি চাচ্ছেন।

আরেক ক্রেতা সাদেক হোসেন জানান, দামের জন্য ঢাকায় কোরবানি দেওয়া মুশকিল হয়ে পড়েছে। পরিচিত মানুষ কম, এক আত্মীয়সহ মোট তিনজন মিলে এক লাখের মধ্যে গরু নিতে এসেছেন তিনি।

শাহজাহানপুর হাটে পর্যাপ্ত পশু, কিন্তু ‘দাম বেশি’

এদিকে শাহজানপুরে আমতলা মসজিদ হয়ে হাটে ঢুকতেই হাতের ডানে ছাগলের হাট বসেছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এখানে এসেছে ছাগল। সর্বনিম্ন ১০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৩৫ হাজার টাকা ছাগল পাওয়া যাচ্ছে এই হাটে।

ময়মনসিংহ থেকে ছাগল নিয়ে এসেছেন কামরুল হাসান। তিনি বলেন, দুটি ছাগল বিক্রি করেছি। আর আছে ১৫টা। এগুলো আমাদের পালিত। আশা করছি কালকের মধ্যে বিক্রি হয়ে যাবে।

ভেড়া বিক্রেতা শহিদুল ইসলাম বলেন, ভেড়ার দাম কম। তুলনামূলক ছোট ভেড়া জোড়া বিক্রি করছি ১৭-২০ হাজার টাকায়। সিঙ্গেল বিক্রি হচ্ছে ৮-১০ হাজার টাকায়।

এদিকে হাসিল তোলার জন্য এই হাটের বিভিন্ন জায়গায় মোট ১৮টি হাসিল বুথ রয়েছে।

টাকা তোলার দায়িত্বে থাকা হাসিব বলেন, আমাদের এই বুথে সকাল থেকে প্রায় ১৮০টি গরুর হাসিল তোলা হয়েছে। মোট গরুর দাম অনুযায়ী ৫ শতাংশ দিতে হয় হাসিল।

আরএএস/জেডএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।