মানেও হোক সেরা
জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এ বছর আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড ও মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ২২ লাখ ১৬ হাজার ৯৬১ জন। যা গত বছর ছিল ২১ লাখ ৩ হাজার ৭৬৩ জন। সে তুলনায় পরীক্ষার্থী বেড়েছে ১ লাখ ১৩ হাজার ১৯৮ জন। অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাস করেছে ১৮ লাখ ৯০ হাজার ৫১৮ জন। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ১৭ লাখ ৭ হাজার ২৪ জন। সে হিসাবে এবার পরীক্ষার্থী বেড়েছে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৪৯৪ জন। গত বছর সাধারণ ৮ শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ছিল ৮৫ দশমিক ২৮ শতাংশ। যা গত বছর ছিল ৮৩ দশমিক ১০ শতাংশ। এবার ৮ বোর্ডে গড় পাসের হার বেড়েছে ২ দশমিক ১৮ শতাংশ।
এবার সাধারণ ৮ বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৮ হাজার ৯৫ জন। যা গত বছর ছিল ১ লাখ ৮৪ হাজার ৩৯৭ জন। সে হিসাব অনুযায়ী এবার জিপিএ-৫ কমেছে ১ লাখ ১৮ হাজার ২৮৯ জন। অন্যদিকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষায় এবার পাস করেছে ৯৭ দশমিক ৫৯ শতাংশ। আর ইবতেদায়িতে এ হার ৯৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ। দুই পরীক্ষা মিলিয়ে পাসের হার ৯৭ দশমিক ৬০ শতাংশ।
সোমবার সকালে শিক্ষাবোর্ড ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে এ ফলাফল হস্তান্তর করেন।
দেশে শিক্ষা ব্যবস্থায় নানা পরিবর্তন এসেছে। এরই ধারাবাহিকতায় এখন পঞ্চম শ্রেণি এবং ৮ম শ্রেণিতেই শিক্ষার্থীদের দু’টি পাবলিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হচ্ছে। এরপর এসএসসি ও এইচএসসি তো রয়েছেই।
একবিংশ শতাব্দীর এ যুগে শিক্ষার্থীদের যুগোপযোগী করে গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই। সৃজনশীল পদ্ধতি চালু হওয়ার মূল লক্ষ্য হচ্ছে শিক্ষার্থীদের নিজস্ব উদ্ভাবনী শক্তির উন্মেষ ঘটানো। মুখস্থ বিদ্যার শিক্ষা যে এই যুগে অচল সেটি বলার অপেক্ষা রাখে না।
গাইড নির্ভর শিক্ষাও কোনো কাজের কথা নয়। এছাড়া পুঁথিগত বিদ্যার বাইরেও শিক্ষার যে অনেক বিষয় ও পদ্ধতি আছে সেটিও মনে রাখা দরকার। এছাড়া পরীক্ষার্থীদের ভাল ফলই বড় কথা নয় এর সাথে মানের দিকটাও দেখতে হবে।
শিক্ষা ব্যবস্থায় উন্নয়ন ছাড়া একটি জাতির কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছা সম্ভব নয়। এ জন্য শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। আশার কথা হচ্ছে শিক্ষার্থী ঝরে পড়া কমছে এবং ছাত্র-ছাত্রীর অনুপাতও সামঞ্জস্যপূর্ণ। সময়মত পরীক্ষা হচ্ছে। এবং নির্দিষ্ট সময়েই এর ফলাফলও প্রকাশিত হচ্ছে। শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রযুক্তির ব্যবহারের কারণে এই অসাধ্য সাধন সম্ভব হচ্ছে। তবে মনে রাখা রাখতে হবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে শিক্ষার মূল লক্ষ্য যেন ব্যাহত না হয়। শিক্ষার্থীদের প্রতি রইলো আমাদের শুভ কামনা ও অভিনন্দন।
এইচআর/এমকেএইচ