নিজেরাই মৃত্যু ডেকে আনবো?

সম্পাদকীয়
সম্পাদকীয় সম্পাদকীয়
প্রকাশিত: ০৯:০৮ এএম, ০৫ আগস্ট ২০২০

করোনা মহামারিকাল দীর্ঘ হচ্ছে। বাড়ছে মৃত্যু ও শনাক্তের সংখ্যা। এরমধ্যে আশার আলো দেখাচ্ছে চীনের তৈরি ভ্যাকসিন। তবে এ জন্য আরও অপেক্ষা করতে হবে। করোনা মহামারি দ্রুত চলে যাক এবং কার্যকর ভ্যাকসিন আবিষ্কার হোক স্বল্পতম সময়ের মধ্যে- মানুষের প্রত্যাশার কেন্দ্রে এখন এটিই।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর তালিকায় যুক্ত হয়েছে আরও ৫০ জনের নাম। ফলে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা এখন তিন হাজার ২৩৪ জন। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে আরও ১ হাজার ৯১৮ জনের মধ্যে। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল দুই লাখ ৪৪ হাজার ২০ জনে। গতকাল মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) দুপুরে করোনাভাইরাস বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের দৈনন্দিন বুলেটিনে এ তথ্য জানান অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

বিজ্ঞাপন

এদিকে দুনিয়াজুড়ে মানুষের জীবন ও অর্থনীতির চাকা স্থবির করে দেওয়া করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কারে পৃথিবীতে গবেষকদের ১৪০টিরও বেশি দল কাজ করছে। সেগুলোর মধ্যে যুক্তরাজ্য, চীন ও রাশিয়ার দল আশার আলো দেখাচ্ছে। এক চীনা কোম্পানির তৈরি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের ফেজ-থ্রি ট্রায়াল বা তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষামূলক ব্যবহার বাংলাদেশে করার অনুমোদন দিতে পারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সন্তোষজনক ফলাফল পাওয়া গেলে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর ভ্যাকসিনটি প্রয়োগের অনুমোদন দেয়া হবে। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল মান্নান এমন কথা জানিয়েছেন।

সচিব বলেন, চীনের একটি ওষুধ কোম্পানি ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার আবেদন করেছে। আইসিডিডিআর,বির মাধ্যমে আবেদন স্বাস্থ্য অধিদফতর হয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এসেছে। এ বিষয়ে আজ আইসিডিডিআর,বি প্রতিনিধিদের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ে আমরা জরুরি বৈঠক করেছি। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সন্তোষজনক ফলাফল পাওয়ার পর যদি এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয় তারপর এর ফলাফল পেতে ছয় মাস সময় লেগে যাবে। এর মধ্যে যদি বিশ্বের অন্য কোনো দেশে ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয় তবে আমরা সেটি পাওয়ার জন্যও যোগাযোগ রাখছি। জনপ্রত্যাশাও সেটিই।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

জাগোনিউজের খবর পেতে ফলো করুন

গতকাল বুলেটিন উপস্থাপনের সময় বরাবরের মতো করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত ও সুস্থ থাকতে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান ডা. নাসিমা। করোনা থেকে বাঁচতে হলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই। মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কিন্তু সেটি মানার ব্যাপারে নেই কোনো গরজ। ঘন ঘন হাত ধুতে হবে সাবান দিয়ে। নিরাপদ শারীরিক দূরত্বও মেনে চলতে হবে। করোনার কোনো সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। এখনো আবিষ্কার হয়নি কোনো ভ্যাকসিন। এ অবস্থায় প্রতিরোধই হচ্ছে প্রতিকারের সর্বোৎকৃষ্ট উপায়। মনে রাখতে হবে নিজের ও পরিবারের সুরক্ষা নিজের হাতেই। এর ব্যতিক্রম হলে ক্ষতি কিন্তু নিজেরই।

এইচআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।